বনদফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে বনদফতর ও পঞ্চায়েত সমিতির অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার অভিযোগ উঠল কুরুমগ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলি অবশ্য তাঁর ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “মরা গাছ কাটার জন্য যে অনুমতি প্রয়োজন পড়ে তা আমার জানা ছিল না। এ ক্ষেত্রে আমার ভুল হয়েছে।”
কুরুমগ্রাম পঞ্চায়েত নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন। পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রোজি পারভিন দাবি করেছেন, “সম্প্রতি পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে যখন গাছ কাটা হচ্ছিল তখন আমার লোক ওখানে পৌঁছয়। তাঁরা বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার জন্য বিরোধিতা করেন। কিন্তু পরে পঞ্চায়েত প্রধান গিয়ে জোর করে কাটা গাছ ট্রাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে নিজের গ্রামের দিকে চলে যান। কাউকে না জানিয়ে কাটা গাছ নিজের পছন্দ মতো লোককে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।” এই অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান বাবর আলি বলেন, “কুরুমগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে একটি মৃতপ্রায় ইউক্যালিপটাস ও একটি শিশু গাছের গুঁড়ির অংশ কাটা হয়েছে। এবং তা নিলাম করে ৩০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। ওই টাকা পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক খাতে জমা করা হয়েছে। প্রয়োজনে হাসপাতালকে সাহায্য করা হবে।”
বনদফতরের তুম্বনি রেঞ্জ অফিসার বিশ্বনাথ ভাণ্ডারি জানান, মরে যাওয়া গাছ হোক বা সজীব গাছ হোক, যে কোনও গাছ কাটতে হলে বনদফতরের অনুমতি দরকার। পঞ্চায়েত তা না নিয়ে ভুল করেছে। করুমগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুগত বিশ্বাস বলেন, “মাস দু’য়েক আগে হাসপাতাল চত্বরের দু’টি গাছ ঝড়ে বেঁকে যায়। পরে ওই গাছ দু’টির ডালপালা ও অংশবিশেষ বাইরের লোক হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে কেটে নিয়ে পালাচ্ছিল। বিএমওইচ-এর নির্দেশে পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পরে পঞ্চায়েত গাছ দু’টি কাটার ব্যবস্থা করে।”
নলহাটি ১ ব্লকের বিডিও অচিন্ত্য সিংহ বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশে জানানো হয়। পুলিশ গিয়ে গাছ কাটা রোধ করেছে বলে জানি। পরবর্তীতে কী হয়েছে খোঁজ নেব।” অন্য দিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাধবেন্দ্র ঘোষালের কথায়, “অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা হবে তা মেনে নেওয়া যায় না।” |