অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী বিতর্ক আজও কাটল না। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরেও, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা না করেই দিল্লি ফিরলেন এআইসিসি-র প্রতিনিধিরা। তবে তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন জারবম গামলিন। প্রতিদ্বন্দ্বী নাবাম টুকি, দিল্লিতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন।
সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের পরিস্থিতি এমনই উত্তপ্ত, জারবম গামলিন বা নাবাম টুকি, যার পক্ষেই সিদ্ধান্ত যাক, জনজাতি সংঘর্ষের আশঙ্কা। দিল্লিতে আহমেদ পটেলের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গামলিন। আজ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা অরুণাচলের পরিদর্শক সুশীলকুমার শিন্ডে, প্রাক্তন উত্তর-পূর্ব উন্নয়নমন্ত্রী বিজয়কৃষ্ণ সন্দিকৈ ও এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক ধনীরাম শাণ্ডিলের উপস্থিতিতে, গামলিন ইস্তফা ঘোষণা করেন। পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল জে জে সিংহের কাছে।
বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক শেষে, সন্ধ্যায় শিন্ডে সাংবাদিকদের জানান, কংগ্রেসের ৪২ জন বিধায়কের মধ্যে, ৪০ জনের মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বিধায়ক দলের নতুন নেতা তথা নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করবেন। বাকি দুই বিধায়কের মধ্যে একজন স্পিকার, অন্যজন ওয়াংকি লোয়াং। লোয়াং চিকিৎসাধীন থাকায় বৈঠকে আসেননি। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে গামলিন বনাম টুকির লড়াই এখন অরুণাচলের জনজাতিদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা নিয়েছে। চউনা মেই অপহরণ কাণ্ডকে অস্ত্র করে, নাবাম যে ভাবে গামলিনের গদি ধরে টান দিয়েছেন তা মেনে নেননি গালো উপজাতিরা। টুকি আবার নিশি উপজাতির সদস্য। নিশিদের অবরোধ-বিক্ষোভে এক মাসে রাজধানী ইটানগর বেহাল। টুকির দাবি, ২৪ জন কংগ্রেস বিধায়ক ও এক নির্দল বিধায়কের সমর্থন তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। তবু, অরুণাচলে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে, সনিয়ার কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন এআইসিসি প্রতিনিধিরা। ৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের ৪২ জন ছাড়াও রয়েছেন তৃণমূলের ৫ জন, এনসিপির ৫ জন, পিপিএ-র ৪ জন, বিজেপি-র ৩ জন বিধায়ক। নির্দল বিধায়কের সংখ্যা এক। |