পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে (পিএসি) টু-জি দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে মুরলী মনোহর জোশীর উদ্যোগ ফের ভেস্তে দিল কংগ্রেস।
সিএজির অবসরপ্রাপ্ত অফিসার আর পি সিংহ কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন, টু-জি দুর্নীতিতে লোকসানের পরিমাণ ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা নয়, বরং ২,৬৪০ কোটি টাকা। এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই উল্লসিত কংগ্রেস নেতারা পিএসি-তে এই অফিসারকে ডাকার তোড়জোড় করেন। যদিও তিনি পরে তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা মনে করছিলেন, এই পরিমাণ প্রমাণ করতে পারলে বিজেপির অভিযোগের ফানুস ফেটে যাবে। পিএসির সদস্য কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমের চিঠির ভিত্তিতে আজ আর পি সিংহকে ডেকে পাঠানোও হয়। কিন্তু পিএসি-র চেয়ারম্যান জোশীর নেতৃত্বে বিজেপি শিবির চাইছিল, এই সুযোগে টু-জি বিতর্ক ফের সুকৌশলে উস্কে দিতে। বিজেপির এই চাল বুঝে শেষপর্যন্ত কংগ্রেস নেতারাই আর পি সিংহের সাক্ষ্য গ্রহণে বাধা দেন। তাঁদের যুক্তি, পিএসি বৈঠকে সিএজি-র কর্তা বিনোদ রাই বসে থাকলে আর পি সিংহের সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব নয়। এই নিয়ে হট্টগোল বাধলে আর পি সিংহের সাক্ষ্য না নিয়েই বৈঠক মুলতুবি হয়ে যায়।
আজ যখন পিএসির বৈঠক চলছিল, ঠিক একই সময়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিও (জেপিসি) টু-জি নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের সচিবদের সাক্ষ্য নিচ্ছিল।
জেপিসির সদস্যরাও এখন স্থির করেছেন, সিএজি-র কর্তা বিনোদ রাই ও আর পি সিংহকে ডেকে জেরা করা হবে। সংসদীয় মন্ত্রী পবন পনশল বলেন, “আমি ‘ব্যক্তিগতভাবে’ মনে করি, টু-জি কান্ডে লোকসানের পরিমাণ কত, তা নিয়ে সিএজির মতামত আগেই শোনা হয়েছে। যখন আর পি সিংহকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তখন তাঁর প্রাক্তন কর্তা সেখানে বসে থাকলে ভালো করে শুনানি সম্ভব নয়।” কিন্তু বিজেপির মুখপাত্র ও পিএসির সদস্য প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “দলের তরফ থেকে আমরা গোড়া থেকে বলে আসছি, সিএজি-কে কংগ্রেস বদনাম করার চেষ্টা করছে। টু-জি কান্ডে কংগ্রেসের মুখোশ খুলে গিয়েছে। এই দুর্নীতির অঙ্ক নিয়ে যাঁর যা বলার রয়েছে, তা কমিটির সামনেই বলা উচিত। |