সল্টলেক থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সোমবার সকালে। সারা দিন নিখোঁজ থাকার পরে, রাতে হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে উদ্ধার করা হল এক তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারকে। সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম অজয় কুমার (২২)। তাঁর অন্তর্ধান ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করা গেলেও কী ভাবে তিনি বেপাত্তা হলেন, সেই ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করার জন্য বিধাননগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রণেন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সোমবার রাতে হওড়া স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিখারিদের সারি থেকে আচ্ছন্ন অবস্থায় ওই ইঞ্জিনিয়ারকে উদ্ধার করে জিআরপি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, তাঁর উপরে মাদক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এ দিন সকালে সল্টলেকের এ-এ ব্লক থেকে ওই ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ হয়ে যান বলে বিধাননগর (পূর্ব) থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর সহকর্মীরা।
দিল্লির বাসিন্দা অজয় ছুটি নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন বলে জানান তাঁর সহকর্মী আকাশ বতরা। সল্টলেকের সি-জি ব্লকের একটি বাড়িতে অজয় ও আকাশ একসঙ্গে থাকেন। এ দিনই দিল্লি থেকে ফেরেন অজয়। আকাশ বলেন, “হাওড়া থেকে প্রথমে সি-জি ব্লকে ফেরে অজয়। সেখান থেকে এ-এ ব্লকে আত্মীয়ের বাড়ি যায়। সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ অজয় আমাকে ফোন করে বলে, কেউ তাকে আচ্ছন্ন অবস্থায় কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। তার আশপাশে ট্রেনের শব্দ হচ্ছে।”
পুলিশ তদন্তে নেমে অজয়ের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পায় হাওড়া অঞ্চলে। রাতে অজয় বলেন, “বিনোদ নামে এক ব্যক্তির অটোয় উঠেছিলাম। আমায় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। কিছু মনে নেই।” অজয়কে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আনা হয়।
হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার মিলনকান্ত দাস বলেন, “যুবকটি সল্টলেক থেকে অটোয় ওঠেন। কী ভাবে তাঁর এই অবস্থা হল, তার তদন্ত হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তাঁর উপরে মাদক প্রয়োগ করা হয়েছিল।” |