|
|
|
|
ফের কমল পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার |
|
মুনাফা ঘরে তোলার
জেরে পতন বাজারে নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
ভারতে শেয়ার বাজার সামান্য হলেও পড়েছে সোমবার। অবশ্য শুধু দেশের বাজারই নয়, গত সপ্তাহে টানা বাড়ার পর এ দিন ইউরোপের শেয়ার বাজারও ছিল উত্তাপহীন। পড়েছে এশীয় বাজার। খোলার পর নিম্নমুখী ছিল ওয়াল স্ট্রিটও। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এর বিশেষ কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁদের মতে, বাজারের স্বাভাবিক চরিত্রের সঙ্গে তাল রেখে মুনাফা ঘরে তোলার উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রিই সূচকের মুখকে নীচের দিকে নামিয়েছে।
এ দিকে ভারতে আরও কমল পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধির হার। গত বছরের ৩.৩% থেকে কমে তা সেপ্টেম্বরে হয়েছে ২.৩%। অগস্টেও যা ছিল ৩.৭%। মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে উৎপাদন কমেছে কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও সার শিল্পে। এর মধ্যে কয়লা উৎপাদন কমেছে ১৭.৮%। কেন্দ্রের আশঙ্কা এতে সার্বিক শিল্পোন্নয়নের গতিও ব্যাহত হবে। বিশেষজ্ঞদের ইঙ্গিত, আজ মঙ্গলবারও এর প্রভাব পড়তে পারে দেশের বাজারে। সোমবার সেনসেক্স পড়েছে ৯৯.৭৯ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে তা ছিল ১৭,৭০৫.০১ অঙ্কে। গত সপ্তাহে নিট হিসাবে সূচক বেড়েছিল ১০১৯ পয়েন্ট। গ্রিস-সহ সদস্য দেশগুলির আর্থিক সমস্যা মেটাতে নেওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ত্রাণ প্যাকেজই বিশ্ব জুড়ে শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করে।
এ বার অবশ্য সকলের চোখ আমেরিকার দিকে। সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ তার ঋণনীতি নিয়ে বৈঠকে বসছে আজ। সেখানে আর্থিক সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কী ব্যবস্থা নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে লগ্নিকারীরা। এর মধ্যেই মার্কিন আর্থিক সংস্থা এম এফ গ্লোবাল হোল্ডিংস নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেছে।
সোমবার সেনসেক্সের পতন হলেও বাজার চাঙ্গা ছিল। লেনদেন শুরু হওয়ার পর বাজার বাড়ছিল। কিন্তু পরে মুনাফার টাকা তুলতে লগ্নিকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়। নেমে আসে সূচকের পারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ত্রাণ প্যাকেজ বাজারকে চাঙ্গা করে তুললেও লগ্নিকারীদের মন থেকে যে আতঙ্ক এখনও কাটেনি, এ দিন ফের তার প্রমাণ পাওয়া গেল। অনিশ্চিত বাজারে লগ্নিকারীরা বেশি দিন শেয়ার হাতে ধরে রাখতে এখনও সাহস পাচ্ছেন না। তাই বাজার কিছুটা উঠলেই শেয়ার বেচে মুনাফা ঘরে তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। এর জেরেই বাজারে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। |
|
|
|
|
|