মেয়রের অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার বাড়িগুলির মান তদন্তের ভার দেন মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটকে (এমইডি)। বেশ কয়েক মাস পরে এমইডি-র তরফে জানানো হয়, বাড়িগুলির মান নিয়ে সমস্যা নেই। এর পরেই ঠিকাদারের বিলও মিটিয়ে দেন মেয়র। তাপসবাবু বলেন, “আমি এমইডি-র রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলাম না। কিন্তু ওই কোটি টাকা না মেটালে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিএসইউপি বাড়ি তৈরির টাকা অনুমোদন হত না।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে বাড়িগুলির মান তদন্ত করে দেখার আবেদন করেন তিনি। মেয়রের অভিযোগ পেয়ে প্রকল্পের নোডাল এজেন্ট কলকাতা কেএমডিএ-কে দিয়ে তদন্ত করানোর সিদ্ধান্ত নেয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।
ওই প্রকল্পে তৈরি বাড়ির বাসিন্দা ফতেমা বিবির অভিযোগ, “বর্ষায় ছাদ ফেটে জল পড়ছে। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন তলা এই আবাসনগুলির দোতলায় যাঁরা আছেন, তাঁরা খানিকটা স্বস্তিতে থাকলেও অন্য আবাসিকেরা কষ্টে রয়েছেন। ছাদ ও দেওয়ালের ফাটল মেরামত করেও সমস্যা মিটছে না।
এ দিকে, বাম আমলে তৈরি বাড়িগুলির গুণমান নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠায় আগের বাম পুরবোর্ডকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বর্তমান বোর্ডের জোট কাউন্সিলররা। এ বিষয়ে প্রাক্তন পুরসভার বর্তমান বিরোধী নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র সিপিএমের তাপস রায় শুধু বলেন, “তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হোক। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” |