দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলন। রবিবার শহরে সুকান্ত মঞ্চে আয়োজিত ওই সম্মেলনে বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। মুহূর্তের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে অনুগামীদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে ৫ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কোচবিহার জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃত্বের ভুল বোঝাবুঝির কথা স্বীকার করে নেন সম্মেলনের অন্যতম বক্তা তথা আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। বিধায়ক বলেন, “সম্মেলনে কারা আমন্ত্রিত, কারা নন তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। ছাত্র-যুবদের সঙ্গে জেলা কংগ্রেসের যোগাযোগের খামতি রয়েছে। সম্মেলন ঠিকঠাকই হয়েছে।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরীর অনুগামীদের সঙ্গে কোচবিহারের যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের অনুগামীদের চাপানউতোর দীর্ঘদিনের। এদিন পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনে কারা যোগ দেবেন তা নিয়ে ফের তা প্রকাশ্যে আসে। দু’পক্ষের বাদানুবাদে সম্মেলন চত্বরে উত্তেজনা ছড়ালে গোলমাল শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের অভিযোগ, “সম্মেলনে অংশগ্রহণের ছাড়পত্র হিসেবে অঞ্চল ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মধ্যে জেলা কংগ্রেস সভাপতির শিবিরের লোকদের বেছে বেছে ১৫০ জনকে ব্যাজ দেওয়া হয়। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রাকেশ চৌধুরী, ডাউয়াগুড়ি অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত দাস সহ অনেকে তা পাননি।” যুব কংগ্রেসের অভিযোগ, সম্মেলনে মঞ্চ যার নামে সেই মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের প্রয়াত নেতা বদরুদ্দিন আহমেদের ছেলে ব্লকের সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহেব আমন্ত্রণ পাননি। শেষপর্যন্ত অবশ্য সুকান্ত মঞ্চেই সম্মেলন হয়েছে। যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎবাবু অবশ্য গোলমালের পর মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বলেন, “এ বার ২০১৩ পঞ্চায়েতে মানুষের সরকার গড়ার অপেক্ষা। রাজ্যে পঞ্চায়েতগুলিকে স্থানীয় সরকার করে তুলতে হবে।” তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এক কংগ্রেস নেতার কথা, “আমরা জোটে আছি।” সম্মেলনে বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, সুখবিলাস বর্মা, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |