|
|
|
|
|
|
|
৪২ বছর পর লিবিয়া মুক্ত হল গদ্দাফির স্বৈরাচারী শাসন থেকে |
ষোড়শ শতাব্দী থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের অধীন উত্তর আফ্রিকার মরুপ্রদেশ লিবিয়ায় পশ্চিমী আধুনিকতার আগমন ১৯৩৪ সালে, যখন তুরস্কের হাত থেকে ইতালি লিবিয়ার দখল নেয়। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধে ইতালির বিপর্যয় লিবিয়ার উপর মিত্র শক্তির (অর্থাৎ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের) আধিপত্য কায়েম করে, যা থেকে স্বাধীনতা পেতে-পেতে ১৯৫১ সাল। ’৫৯-এ দরিদ্র লিবিয়ার মরুবালুরাশির নীচে আবিষ্কৃত হল তেল। সম্পদশালী হয়ে উঠল দেশ নয়, দেশের শাসক রাজা ইদ্রিশ। ইতিমধ্যে পশ্চিম এশিয়া থেকে সমগ্র ইসলামের ভুবনেই ছড়িয়ে পড়ছে আরব জাতীয়তাবাদ, গামাল আবদেল নাসেরের প্রেরণায়। লিবিয়ার এক দল সেনা-অফিসার মুয়ম্মর গদ্দাফির নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করলেন ইদ্রিশকে। লিবিয়াতেও ঢুকে পড়ল আরব সমাজতন্ত্রের ঢেউ। সেটা ১৯৬৯। |
|
ক্ষমতায় এসেই দরিদ্র লিবিয়াকে তার তৈলসম্পদ দিয়ে পুনর্নির্মাণে ব্রতী হলেন গদ্দাফি। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করে দিলেন তিনি। সকলের জন্য নিখরচায় স্বাস্থ্য-পরিষেবার ব্যবস্থা করতেও উঠে-পড়ে লাগল তাঁর সরকার। দুই ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গেল, তবে সকলের জন্য আবাসনের লক্ষ্যমাত্রা অনর্জিত থেকে যায়। তবু গরিব, অনুন্নত লিবিয়া গদ্দাফির শাসনে মাথা তুলে দাঁড়াতে লাগল। পরিণত হল আফ্রিকার পঞ্চম ধনী রাষ্ট্রে, যার জনসাধারণের মাথা পিছু গড় আয় ১১ হাজার ডলার। এ জন্য প্রথমেই কোপ পড়ল বিদেশি তেল কোম্পানির ওপর। ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম দিয়ে শুরু, তার পর একে-একে সব পশ্চিমী তেল সংস্থা। তা থেকে যে তহবিল মিলল, তা দিয়ে বৃষ্টিহীন লিবিয় প্রান্তরে কৃষি ও সেচের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার রূপায়ণ শুরু হয়, যাতে তেলের সীমিত ভাণ্ডার নিঃশেষ হওয়ার পরেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে না পড়ে। পঞ্চবার্ষিক যোজনা ও খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের প্রয়াসও গদ্দাফির আমলেই শুরু। প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীতেও নানা সংস্কার করেছিলেন গদ্দাফি।
কিন্তু পররাষ্ট্র নীতিতে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের সেই যুগে সোভিয়েতের দিকে তাঁর ঝুঁকে পড়ার মূল্য লিবিয়াকে চোকাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে জায়নবাদের বিরোধিতা এবং প্যালেস্টাইনিদের সমর্থন করতে গিয়ে তিনি লিবিয়াকে নানা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল ও মদতদাতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেন। ফলে পশ্চিমের মুক্ত দুনিয়া লিবিয়ার উপর রুষ্ট হয়েছে। লিবিয় বিমানবাহিনীর উপর একের পর এক মার্কিন কামানবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ সে দেশের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিকেও পর্যুদস্ত করেছে। বিলাসবহুল জীবনযাপন, স্বজনপোষণ, জনজাতীয় বৈরিতা সেনাবাহিনীর মধ্যেও ভাঙন ঘনায় এবং ক্রমে গদ্দাফি-বিরোধীদের সংগঠিত করে। অতঃপর মঞ্চে ন্যাটোর আবির্ভাব এবং গদ্দাফির সমরসজ্জা ধ্বংস করে তাঁর বিরোধীদের লিবিয়ার কর্ণধার বানানো। |
|
|
সম্প্রতি চিনে সাড়ম্বরে পালিত হল ‘১৯১১ সালের বিপ্লব’-এর সুবর্ণজয়ন্তী, ইতিহাসে যা পরিচিত ‘ঝিনহাই বিপ্লব’ নামে। কী হয়েছিল এই সময়? ১৯১১ সালের ১০ অক্টোবর চিনে শুরু হয় এক সশস্ত্র অভ্যুত্থান, চিং রাজবংশের (১৬৪৪-১৯১২) বিরুদ্ধে। অনেক দিন ধরেই চিনে মাঞ্চু রাজাদের শাসনের বিরুদ্ধে জমছিল ক্ষোভ। দুর্বল শাসনের সুযোগে বিদেশি শক্তিগুলি তাদের প্রভাব বিস্তার করছিল। এদের মোকাবিলা করতে হলে যে আভ্যন্তরীণ সংস্কার দরকার ছিল, মাঞ্চু রাজারা তা করেননি। ফলে চিনের অর্থনীতি বেহাল হয়ে পড়ে। দেশের নানা প্রান্তে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিদ্রোহ। শেষ পর্যন্ত ১৯১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চিনের ‘শেষ সম্রাট’ পুয়ি-কে সিংহাসনচ্যুত করার মধ্য দিয়ে অবসান হল প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো চিন সাম্রাজ্যের। সূচনা হল চিনের প্রজাতান্ত্রিক যুগের, এশিয়ার মধ্যে প্রথম। বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী নেতা ডা. সান-ইয়াৎ-সেন। তবে এই বিপ্লবকে বলা হয় ‘অসম্পূর্ণ বিপ্লব’। কারণ, বিপ্লবের পর সান রাজতন্ত্রের প্রতিনিধি ইউয়ান-শি-কাই’এর সঙ্গে এক সমঝোতায় আসতে বাধ্য হন। ফলে সান-এর মূল আদর্শগুলি, অর্থাৎ জনগণের জাতীয়তাবাদ, জনগণের গণতন্ত্র ও জনগণের জীবিকা বা সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন পুরোপুরি সফল হয়নি। এই প্রজাতন্ত্রের অবসান হয় ১৯৪৯ সালে, মাও জে দং-এর নেতৃত্বে কমিউনিস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। এখনও ১৯১১ সালের বিপ্লবকে ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। এর প্রকৃত উত্তরাধিকারী তাইওয়ান-এর ‘রিপাবলিক অব চায়না’, না মূল চিন ভূখণ্ড ‘পিপলস্ রিপাবলিক অব চায়না’ এই নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। |
|
জঙ্গলমহল বলতে আজ পশ্চিমবঙ্গের যে ভূখণ্ডকে বোঝায়, তা বরাবরই জনজাতীয় মানুষের বাসভূমি ছিল। ঘন জঙ্গলে ঢাকা এই অঞ্চলে অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় গোষ্ঠীর বিভিন্ন জনজাতি বসবাস করত। তারা ছিল প্রকৃতিপূজক, সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত। সস্তায় জমির খোঁজে বহিরাগতরা (‘দিকু’) এখানে আসা-যাওয়া শুরু করে। ক্রমে তারা বনজ সম্পদ এবং জমির নীচের খনিজ সম্পদেরও খোঁজ পায়। অমনি উৎখাত ও কোণঠাসা হতে থাকে জনজাতীয়রা। তাদের অরণ্যের অধিকার, নদী-ঝর্না-আকাশ-মাটির উপর অধিকার চলে যায় দখলদারদের হাতে। আর তারা দরিদ্র, অসহায় হতে থাকে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জাতীয় সড়ক তাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। পাশ কাটিয়ে যায় সেচের খাল, চলার রাস্তা, পানীয় জলের ‘টিউকল’, শিক্ষার পাঠশালা, চিকিৎসার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পাকা ছাদের আবাসন, আলো দেওয়ার বিদ্যুৎ। তবে ভূম্বামীদের সঙ্গে, কাঠ-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে, সরকারি অফিসার, মন্ত্রীদের সঙ্গে পুলিশ আসে। জনজাতির কাছ থেকে সস্তায় পাওয়া বা ‘সরকারে ভেস্ট করা’ জমিতে শিল্প গড়তে আসা পুঁজিপতি-আমলা-মন্ত্রীদের সঙ্গেও আসে। আবার থানা থেকেও আসে, ‘নকশালদের’ খবর নিতে। ঠিক যেমন সিধো-কানহুর হুলের সময় আসত। গরিব জনজাতির ঘরদোর তছনছ করে, হাঁড়ি-পাতিল ভাঙে, সন্দেহবশে বউ-ঝিদেরও তুলে নিয়ে লক-আপে ভরে দেয়, ঠিক যেমন বিরসা ভগবানের উলগুলানের সময় দিত। জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র জনজাতিদের সঙ্গে দিকু প্রশাসন ও সরকারের তাই কোনও মিলমিশ হয় না। প্রশাসন জঙ্গলমহলে ‘বহিরাগত’ই থেকে যায়। |
|
পিএসএলভি-সি১৮ |
১২ অক্টোবর শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশে ‘পি এস এল ভি- সি১৮’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইসরো। নিয়ে গেল চারটি কৃত্রিম উপগ্রহ ইসরো এবং ফ্রান্সের সি এন ই-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘মেঘাট্রপিক’, চেন্নাইয়ের এস আর এম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এস আর এম স্যাট’, লুক্সেমবার্গের ‘ভেসেলস্যাট’ এবং কানপুর আই আই টি’র ‘জুগনু’। |
বিএড |
কর্মরত স্কুলশিক্ষকদের মধ্যে যাঁদের বি এড ডিগ্রি নেই, তাঁদের ২০১৫ সালের মধ্যে ওই ডিগ্রি পেতেই হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।
|
গিলাদ শালিত |
পাঁচ বছর গাজায় হামাস (প্যালেস্তাইনি জঙ্গি সংগঠন)-এর হাতে বন্দি থাকার পর ১৮ অক্টোবর মুক্তি পেলেন ইজরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনীর সৈনিক গিলাদ শালিত। বিনিময়ে ইজরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন এক হাজারেরও বেশি প্যালেস্তাইনি, যাঁদের অনেককেই সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের দায়ে বন্দি করা হয়েছিল।
|
বুকার পুরস্কার |
‘দ্য সেন্স অব অ্যান এন্ডিং’-এর জন্য বুকার পুরস্কার পেলেন ব্রিটিশ লেখক জুলিয়ান বার্নস।
|
পাকিস্তান |
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে দু’বছরের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হল পাকিস্তান। এই নির্বাচনে তারা ভারতেরও সমর্থন পায় বলে জানা গিয়েছে।
|
অনলাইনে ভর্তি |
আগামী বছর থেকে অনলাইন কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। |
|
|
|
|
|