ফের জনতার শাসন। এ বার শান্তিপুর থানার শগুনা সেনপাড়া এলাকায়। শনিবার গভীর রাতে চোর সন্দেহে সেখানে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম মাদার শেখ (৩০)। বাড়ি নবদ্বীপ থানার বাহিরচরা গ্রামে। এই ঘটনায় পুলিশ এক জনকে গ্রেফতারও করেছে। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “লোকটি চুরি করতে এসেছিল, জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে তাকে গণপিটুনি দেয়। যে বাড়িতে ওই দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল, সেই বাড়িরই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মানিক মল্লিক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানিকবাবুর বাবা বিশ্বনাথ মল্লিকের বাড়িতে ওই দিন রাতে চার জনের একটি দল হানা দেয়। তারা ছাগল চুরি করতে চেষ্টা করেছিল। সেই সময়ে ছাগলের ডাকেই ঘুম ভেঙে যায় বিশ্বনাথবাবুর বাড়ির লোকজনের। চিৎকার চেঁচামেচিতে জেগে ওঠেন গ্রামবাসীরাও। বেগতিক দেখে চম্পট দেয় চার দুষ্কৃতী। গ্রামবাসীরাও তাদের তাড়া করতে শুরু করে। তাঁদের হাতেই ধরা পড়ে যায় মাদার শেখ। শুরু হয় গণপিটুনি। বিশ্বনাথবাবুর ছেলে নারায়ণ মল্লিক বলেন, “আমার ভাই মানিক ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেছিল। সে-ই তখন ভাইয়ের গায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ভাই তারপরেও তাকে ছাড়েনি। গ্রামের লোকজন ছুটে গিয়ে ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ক্ষেপে যায়।” তবে তিনি বলেন, “আমরা কিন্তু ওই দুষ্কৃতীকে মারধর করিনি। অন্ধকারে কারা তাকে মেরেছে তা-ও দেখতে পাইনি।” সেই সময় গ্রামেরই কিছু লোকজন মাদার শেখকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ছাড়িয়ে এনে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দেখে মাদার শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সে মারা যায়। পাশের গ্রামের বাসিন্দা গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বিরোধী নেতা কংগ্রেসের ব্রজ মণ্ডল বলেন, “গ্রামেরই কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোক ওই দুষ্কৃতীকে উদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।” |