|
|
|
|
খেজুরিতে উত্তেজনা |
মারধরের জেরে নিহত তৃণমূলকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
কালীপুজোর রাতে বিবাদের জেরে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূলকর্মীর। খেজুরি থানার বেলতলা গ্রামের সুব্রত গিরি (৩৫) ওরফে লালু গিরিকে মারধর ও খুনে স্থানীয় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বিকাশ সেন নামে এক যুবককে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় গ্রাম কমিটির সঙ্গে বিবাদের জেরে গত বৃহস্পতিবার খেজুরি থানার টিকাশি অঞ্চলের বেলতলা বুথ কমিটির তৃণমূল সম্পাদক সুব্রত গিরিকে লাম্পপোস্টে বেধে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কামারদা হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে যথাক্রমে জেলা হাসপাতাল ও কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার কলকাতার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সুব্রতের। ঘটনাটি রাজনৈতিক না হলেও পরে রাজনীতির রং চড়তে শুরু করে। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন অভিযোগ করেন, ‘‘গ্রাম কমিটির আড়ালে সিপিএমের রবীন সেন, হিমাংশু জানা ও তাঁর দুই ছেলে শঙ্কর, শম্ভুই মারধরে নেতৃত্ব দেয়।” যদিও সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত পাত্র তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “খেজুরিতে এখন তৃণমূলের সন্ত্রাসে সিপিএম কর্মী-সমর্থক তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষজনই অতিষ্ঠ। তৃণমূল রাজনৈতিক কারণে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করতে ভুয়ো অভিযোগ তুলছে।” শুক্রবার সুব্রতর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছলে বেলতলা ও প্রিয়ানগর গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে কাঁথির মহকুমা পুলিশ অফিসার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। |
|
|
|
|
|