|
|
|
|
|
বিদেশের পরিসংখ্যানটা
পাল্টাতে হবে ধোনিদের
রবি শাস্ত্রী |
|
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মুহূর্তের ভুলে হারা যায়। শনিবারের ম্যাচের প্রথম দিকেই ভারতের পা পিছলে গিয়েছিল। সেখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি ধোনিরা।
শনিবার ভারতীয় দলে কয়েকটা নতুন মুখ দেখলাম। দলের রিজার্ভ শক্তি পরখ করে নিতে চান নির্বাচকেরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, তিন ধরনের রেসের জন্য তিন ধরনের ঘোড়া বেছে নিতে চান তাঁরা। যার জন্য দুই জাত টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার রবিন উথাপ্পা এবং ইউসুফ পাঠানকে শনিবার খেলানো হল। যথেষ্ট বিবেচনা করে ঠিক করা ছক।
গত গ্রীষ্মে পরপর সাতটা টেস্ট খেলেছিল ভারত। রিজার্ভ ক্রিকেটাররা ছিল না বলে টেস্টে এক নম্বর জায়গাটা হারাতে হল ধোনিদের। সামনের কয়েক মাসে আরও সাতটা টেস্ট খেলতে হবে। এ বার যেন আর কোনও বোকামি না করা হয়। মনে হচ্ছে নির্বাচকদের মাথায় ব্যাপারটা আছে।
প্রাথমিক ভাবে যে ক্রিকেটারদের পরীক্ষা করা হয়েছে তারা সবাই নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছে। উমেশ যাদব, বরুণ অ্যারন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা এবং অজিঙ্ক রাহানে দলে গভীরতা এনেছে। আশিস নেহরা, আরপি সিংহদের নিয়ে ভবিষ্যতে ভাবা হবে বলে মনে হয় না। ভাজ্জির খিদেটা চাগিয়ে রাখা হচ্ছে। টেস্ট দল থেকে বাদ দিয়ে সুরেশ রায়নাকে একটা ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। বিরাট কোহলি আর রাহানে-কে আবার টেস্টে সুযোগ দেওয়া হল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য প্রবীণ কুমারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। পরের দিকে হয়তো ধোনিকেও বিশ্রাম দেওয়া হবে। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের আগে প্রায় দু’সপ্তাহ সময় পাচ্ছে ভারত। সব মিলিয়ে এই পাগলামির মধ্যে একটা সুপরিকল্পিত ছক আছে।
মেডিক্যাল ওয়ার্ড থেকে চোট সারিয়ে ক্রিকেটাররা একে একে ফিরছে। যার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটমহলের আবহাওয়া এখন অনেকটা চনমনে, প্রত্যাশাপূর্ণ। ইংল্যান্ড গ্রীষ্মের ব্যথা অনেকটা কমে গিয়েছে। কিন্তু বিদেশের মাঠে ভাল খেলার জেদটাও ধরে রাখতে হবে। এই মুহূর্তে দেশের মাটিতে ভারত প্রায় অপরাজেয়। কিন্তু বিদেশ সফরের পরিসংখ্যানটা পাল্টাতে হবে। একটা ভাল দলকে তো শুধু দেশের মাঠে ভাল খেললে চলবে না। এবং এই শিক্ষাটা ইংল্যান্ড এবং ভারত দু’দলকেই নিতে হবে। |
|
|
|
|
|