|
|
|
|
আসল লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া: সহবাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অনূর্ধ্ব ১৮ ছেলে-মেয়েরা দেড়শোটা বল করেও বীরেন্দ্র সহবাগকে আউট করতে পারলেন না বটে। কিন্তু মডার্ন স্কুলের মেয়ে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সঞ্জনা ভটনাগর তার বাঁ-হাতি স্পিনে সহবাগকে ব্যাকফুটে নিয়ে গিয়ে যথেষ্ট বেগ দিলেন। সঞ্জনা-সহ আট বোলারকে নির্বাচন করলেন সহবাগ, নিজের অত্যাধুনিক অ্যাকাডেমিতে নিখরচায় অনুশীলন করার জন্য। সেখানে তাদের কোচিং করাবেন সহবাগের কোচ এ এন শর্মা ও বীরু স্বয়ং। তা ছাড়া ভারতীয় দলের বন্ধুরাও তাঁকে এখানে এসে সাহায্য করবেন।
সহবাগের ঘরের মাঠ কোটলায় পরের সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। তবে সহবাগ বলছেন, “আমার আসল লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ায় আমি দুটো সিরিজ এর আগে খেলেছি, কিন্তু সিরিজ জেতাটা হয়নি। তাই এ বার সেই লক্ষ্যটা পূর্ণ করতে চাই। তার উপর অস্ট্রেলিয়াকে ওদের মাঠে হারানোর যে বাড়তি আনন্দটা আছে সেটা পাওয়ার জন্যও মুখিয়ে আছি।” হরভজনের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে বললেন “এই ব্যাড-প্যাচ আমার ও যুবরাজেরও গিয়েছে। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে গিয়ে আবার দলে ফিরেছি। ভাজ্জিরও সেটাই করা উচিত।”
সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে যে ভাবে বিরাট কোহলি, বরুণ অ্যারন, উমেশ যাদবরা ইংল্যান্ডকে এক দিনের সিরিজে ৫-০ হারাল তা নিয়ে সহবাগের মন্তব্য, “এতে এটাই প্রমাণিত হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ উজ্জল। তরুণ বোলাররা এসে যাওয়ায় এখন আমাদের সিনিয়র পেসারদের রোটেশন পদ্ধতিতে যথেষ্ট রকম বিশ্রাম দিয়ে আবার তাজা হয়ে ফেরার সুযোগ দেওয়া যাবে।”
অন্য দিকে, সংবাদসংস্থার সংযোজন, সহবাগ স্বীকার করছেন, পুরো সুস্থ-না হয়ে ইংল্যান্ড সফরে তাঁর খেলা ঠিক হয়নি। “ওই সময় দলে যে আমার প্রয়োজন হয়েছিল, সেটা বুঝতে পারছিলাম। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম দলকে সাহায্য করতে। কিন্তু বুঝতে পারি, একটু বেশি তাড়াতাড়ি মাঠে নেমে পড়েছিলাম। আসলে ওই সময় ইংল্যান্ডে আমাদের খুব খারাপ সময় যাচ্ছিল। এত চোট লাগছিল সবার,” বলেছেন সহবাগ।
আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস অধিনায়ক দেশ বনাম ক্লাব বিতর্কেও মুখ খুলেছেন। “এই বিতর্কের কোনও মানে হয় না। কারণ, কোনও ক্রিকেটারই দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএলকে বেশি গুরুত্ব দেয় না। এক জন ক্রিকেটারকে দেখান তো যে বলছে, টেস্ট না খেলে আইপিএল খেলতে চায়। আসলে এ সব প্রচারমাধ্যম এবং কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারের ভুল ধারণা। দেশের হয়ে খেলার জন্য অনেকেই অনেক আত্মত্যাগ করে থাকে। আমি চোট নিয়ে বিশ্বকাপ খেলেছি। সচিন কখনও ভাঙা আঙুল, কখনও অন্য চোট নিয়ে খেলে গিয়েছে। কেউ এ সব জানে না,” বললেন সহবাগ। |
|
|
|
|
|