ছটের আগে করলা সাফে পুর-উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
করলা নদী সাফাই অভিযান শুরু করেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। রবিবার সকাল থেকে পুরকর্মীরা নৌকা নিয়ে সাফাই অভিযানে নামেন। এমনিতেই সারা বছর শহরের বিভিন্ন বর্জ্য নদীতে জমা হয়। নদীর বুকে পলি জমে নাব্যতাও তলানিতে ঠেকেছে। জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এই নদীর নাব্যতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। আগামী বছর থেকেই যার কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে আপাতত ছট পুজোকে সামনে রেখে নদী থেকে ময়লা তোলার কাজ শুরু করেছে পুরসভা। পরিষ্কার করা হয়েছে নদীর সব ঘাটও। জলপাইগুড়ি শহরের এসি কলেজ এলাকা থেকে কিং সাহেবের ঘাট পর্যন্ত করলা নদী সাফ করা হয়েছে। নৌকা নিয়ে নদী বক্ষের ময়লা তোলার কাজও শুরু হয়েছে। পুরসভা সুত্রে জানানো হয়েছে, সারা বছর ধরেই নদীকে পরিষ্কার রাখার কাজ চালানো হবে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “করলা নদীকে হারানো নাব্যতা ফিরিয়ে দিতে পুরসভা বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই করলা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুইঁয়া নিজে এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। তার আগে পুরসভা নিজেরাই সাফাই অভিযান শুরু করেছে।” রবিবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে জলপাইগুড়ি পুরসভা। সোমবারেও নদীতে সাফাই অভিযান চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার ছট পুজোর কারণেই তড়িঘড়ি এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “যেহেতু নদীতে নেমে ছট পুজো করতে হয় সে কারণে নদীগর্ভ থেকে ময়লা তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি নদীর দু’ধারও পরিষ্কার করা হচ্ছে। মূলত ছট পুজোকে সামনে রেখেই এই কাজ শুরু করা হলেও সারা বছর ধরেই পুরসভা অভিযান চালাবে।” এ দিন পুরকর্মীরা দুটি দলে ভাগ হয়ে করলা নদী পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেন। একটি দল নদীর দু’ধারের ময়লা, ঘাট পরিষ্কারের কাজ করে। অন্য দলটি নৌকায় চড়ে শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রায় আট কিলামিটার নদীর থেকে জমে থাকা পলি পরিষ্কার করে। |