বাজারে দূষণ
তুন শেড তৈরির পরেও পাইকারি মাছের বাজার স্থানান্তরিত হয়নি। পচা জলকাদায় থইথই কাপড়ের বাজার সংলগ্ন এলাকা। দূষণে জেরবার ময়নাগুড়ির পুরাতন বাজার। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও গড়ে ওঠেনি পৃথক ফলের বাজার। ব্যস্ততম রাস্তার ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহকারি সম্পাদক স্বপন দত্ত বলেন, “জেলা পরিষদের কর্তারা কয়েক দফায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কাজ হয়নি। মাছের পাইকারি বাজারের শেড তৈরি হলেও সেগুলি কবে চালু হবে কেউ জানে না।” যদিও জেলা পরিষদের কর্তারা ব্যবসায়ী সমিতির ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) উৎপল বিশ্বাস বলেন, “বাজার উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। পাইকারি মাছের বাজার স্থানান্তরের জন্য আমরা কয়েকদিনের মধ্যে আলোচনায় বসব।” পুরাতন বাজারের ঠিক মাঝখানে পরিষেবা ছাড়াই চলছে পাইকারি মাছের বাজার। সেখান থেকে নোংরা জলকাদা গড়িয়ে ঢুকছে কাপড়ের বাজারে। সকালে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা শেড গমগম করলেও বিকেলে ফাঁকা পড়ে থাকে। তখন সেটা চলে যায় দেশি মদ বিক্রেতাদের দখলে। চত্বর জুড়ে গোড়ালি ডোবা পচা জলকাদা। স্থানীয় ব্যবসায়ী তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অনুপ পাল বলেন, “বীভৎস পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের তরফে প্রায়ই কাদা সাফ করা হয়। লাভ হচ্ছে না। মাছের পাইকারি বাজার সরানো না-হলে দূষণ কমবে না।” ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দুর্ভোগ কমাতে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? জেলা পরিষদের কর্তারা জানান, মাছের বাজার সরিয়ে নেওয়ার জন্য সবজি বাজারের কাছে শেড তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সেটা চালু হয়ে যাবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ অবশ্য ওই আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, পাইকারি মাছের বাজারে নেই নিকাশি। সুনীল দাসের মতো কয়েকজন মাছ বিক্রেতা জানান, তাঁরাও চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব বিকল্প ব্যবস্থা হোক। ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন বাজারে সাড়ে পাঁচশো দোকান আছে। তার মধ্যে অন্তত দেড়শো দোকান পাইকারি মাছ বাজারের দূষণের কবলে। নতুন শেড তৈরি নিয়েও বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করে সবজি বাজারের কাছে শেড তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতির সহকারি সম্পাদক বলেন, “একই সমস্যা থেকে যাচ্ছে। ওই শেড চালু হলে কয়েকদিন পরে ফের দূষণের অভিযোগ উঠবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.