তারকেশ্বরের কেশবচক পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে সিপিএম ‘অশান্তি ছড়ানো’র চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল।
কুলতেঘড়ির মধ্যমপাড়ায় তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কাটআউট কে বা কারা ছিড়ে দেয়। রবিবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নজরে আসে। তাঁদের অভিযোগ, সিপিএমের লোকেরাই এলাকায় শনিবার রাতে কাটআউটটি ছিড়ে দেয়। এ নিয়ে সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এর আগেও একাধিক বার মমতার কাট আউটছেড়া হয়েছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঘটনার কথা থানায় জানানো হয়েছিল।
এ দিনই নছিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ডিভিসি বাঁধের উপরে তৃণমূলের পতাকা খুলে ফেলে দিয়ে সিপিএমের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অপর একটি ঘটনায় রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মোহনবাটি গ্রামে তিন তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। দু’টি ঘটনাতেই তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রতিটি অভিযোগই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যন, তৃণমূল নেতা স্বপন সামন্ত বলেন, “সিপিএমের লোকেরা অকারণেই এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট ছেড়া, পতাকা খুলে ফেলা কোনও সভ্য রাজনৈতিক দলের পরিচয় নয়। প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।” সিপিএমের তারকেশ্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্নেহাশিস রায়ের অবশ্য বক্তব্য, “তৃণমূলের হুমকিতে তারকেশ্বরে এখন সিপিএমের লোকেদের মুখ খোলারই জো নেই। সেই আমরাই সন্ত্রাস ছড়াচ্ছি, এটা হাস্যকর বললেও কম বলা হয়।” সিপিএম নেতৃত্বের পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে জোর করে চালের টোকেন কেড়ে নিয়ে তৃণমূলের লোকেরা বড়লোকেদের বিলি করেছে। পঞ্চায়েত প্রধানকে হেনস্থা করেছে। স্নেহাশিসবাবু বলেন, “ওরা এত দুর্নীতি শুরু করেছে যে, ওদের দলের গরীব মানুষই এখন পাল্টা প্রশ্ন করছে। তাই নিয়ে ওদের নিজেদের মধ্যেই গণ্ডগোল হচ্ছে। গা-বাঁচাতে আমাদের দিকে অভিযোগ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। ওরাই আমাদের ঝাণ্ডা খুলে ফেলে দিয়েছে।” তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। |