নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
দুবরাজপুর থেকে যাত্রা হয়ে কল্যাণপুর যাওয়ার ওই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এই রাস্তার উপরে ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু, রাস্তার হাল ফেরানোর জন্য প্রশাসন উদ্যোগী নয় বলে অভিযোগ।
রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাস চলাচল কম। এর একমাত্র ও প্রধান কারণ রাস্তার বেহাল অবস্থা। সবচেয়ে করুণ অবস্থা কান্তোর থেকে যাত্রা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার অংশ। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, শুধুমাত্র রাস্তা খারাপের জন্য বাস চলাচল কম। রাস্তা খারাপের জন্য কিছু দিন আগে এই রুটে বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন মালিকেরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু বার স্থানীয় সাহাপুর পঞ্চায়েত ও দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছিল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অথচ রাস্তাটি ভাল থাকলে দুবরাজপুর থেকে বোলপুরের দূরত্ব (পাড়ুই হয়ে) এবং বোলপুর থেকে আসানসোলের দূরত্ব কমপক্ষে ১০-১২ কিলোমিটার কমে যেত। উপকৃত হতেন এলাকার বাসিন্দারা। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আটের দশকে তৈরি হওয়া দুবরাজপুর থেকে (কান্তোর-যাত্রা হয়ে) কল্যাণপুর যাওয়ার রাস্তাটি ১৫ কিলোমিটার হলেও সেটির দেখাশোনার দায়িত্ব তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। দুবরাজপুর থেকে যশপুর পঞ্চায়েতের কান্তোর পর্যন্ত রাস্তাটি দেখাশোনা করে পূর্তদফতর (সড়ক)। কল্যাণপুর থেকে সাহাপুর পঞ্চায়েতের বড়গুণসীমা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তাটি এখন প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় তৈরি হওয়ার ফলে মাঝের ৬ কিলোমিটার রাস্তা এখন দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতি দেখাশোনা করে। এলাকাবাসীর সমস্যা মূলত রাস্তার ওই অংশকে ঘিরে।
স্থানীয় বাসিন্দা খিলাফত হোসেন খান, হরিকিঙ্কর দাস, ইসমাইল মোল্লা, শরৎ বাগদিরা বলেন, “গত ৬-৭ বছর ধরে মোরাম পর্যন্ত পড়েনি ওই রাস্তায়। চার চাকার গাড়ি তো বটেই, সাইকেল-মোটরবাইক নিয়ে যেতেও কষ্ট হয়। অথচ দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর, সাহাপুর, পদুমা পঞ্চায়েত অঞ্চলের বহু গ্রামের মানুষ ওই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল। দুবরাজপুর, সিউড়ি, ইলামবাজার, আসানসোল, দুর্গাপুর যেতে হলে এই রাস্তা ব্যবহার করতেই হবে।” তাঁদের ক্ষোভ, “উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পঞ্চায়েত বা ব্লকে যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তা ধরেই। শুধুমাত্র রাস্তা ভাল না থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হয়নি।”
দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে থাকা রাস্তাটি ঘিরে মানুষের ক্ষোভ থাকলেও দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “স্থানীয় পঞ্চায়েত বা এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পাইনি। তবে রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন।” তিনি জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তিন কোটি টাকার প্রয়োজন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন)-এর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। |