পঞ্চায়েত ভোট যথা সময়েই, জানালেন মন্ত্রী |
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার কোনও সম্ভবনা নেই। বামফ্রন্টের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলি ভেঙে দেওয়ার কোনও ইচ্ছাও রাজ্য সরকারের নেই। রবিবার ভাতারে গিয়ে এমনটাই দাবি জানালেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। এ দিন ভাতারের মাহাতা পঞ্চায়েত পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “বামেদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলি ভেঙে দেওয়ার কোনও ইচ্ছা রাজ্য সরকারের নেই। পঞ্চায়েত ভোটও হবে যথা সময়ে।” রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদল হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু পঞ্চায়েতে কাজকর্ম থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিন মন্ত্রী জানান, বেশ কিছু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতিরা যাচ্ছেন না। তিনি বলেন, “পুলিশকে এই ধরনের পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধানকে নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে। তাতেও যদি তাঁরা কাজকর্ম চালাতে না পারেন, তাহলে সেখানকার বিডিও-কে কার্যনির্বাহী আধিকারিক হিসেবে কাজ চালাতে বলা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সে ভাবে গতি পায়নি। আমরা চাই, সেগুলি ঠিক মতো চালানো হোক।’’ ২৯ নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে নতুন বিপিএল তালিকা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রাজনৈতিক রং না দেখা হয়, সে ব্যাপারে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
|
দলের বহিষ্কৃত নেতা তথা গুসকরার পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াইয়ের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করল তৃণমূল। রবিবার এই মিছিলে প্রায় ২২ হাজার মানুষ যোগ দেন বলে দাবি গুসকরা টাউন তৃণমূলের সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, মিছিলে ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, দলের বীরভূমের নেতা তথা আউশগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল-সহ বহু নেতা-কর্মী। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে চঞ্চলবাবুকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। কিন্তু তিনি পুরপ্রধানের পদ থেকে পদে ইস্তফা দেননি। পঞ্চায়েত মন্ত্রী এ দিন বলেন, “চঞ্চলবাবু এখন দলে নেই। তিনি দলের টিকিটে জিতেছিলেন। তাই তাঁর উচিত ইস্তফা দেওয়া।” এ দিন চঞ্চলবাবু পাল্টা বলেন, “দলের তরফে আমাকে পদ ছড়তে বলে কোনও চিঠি এখনও দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া দলের আট কাউন্সিলার আমার বিরুদ্ধে অনাস্থাও আনেননি। তাই পদত্যাগ করিনি।”
|