নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
কোলিয়ারির ইঞ্জিনিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক কর্মীর বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে জামুড়িয়ার নিউ কেন্দা কোলিয়ারির ঘটনা। ওই ইঞ্জিনিয়ারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কেন্দা এরিয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
কোলিয়ারি সূত্রে জানা যায়, রবিবার কাজ করলে শ্রমিকদের দ্বিগুণ মজুরি মেলে। রবিবার কাজ দেওয়ার ব্যাপারে রাজনৈতিক পক্ষপাত হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে এ দিন সকালে বিক্ষোভ দেখাতে যান কোলিয়ারির সিটু সদস্য সুকুমার চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ে কোলিয়ারি অফিসে এজেন্ট বা ম্যানেজার, কেউ ছিলেন না। বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপকুমার দাস। অভিযোগ, সুকুমারবাবু হঠাৎ প্রদীপবাবুকে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার ইউনিস আনসারি-সহ অন্য আধিকারিকেরা সেখানে যান। প্রদীপবাবুকে ইসিএলের ছোড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
|
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইসিএলের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দা এরিয়া সভাপতি প্রশান্ত কুমার বলেন, “আমরা ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। সুকুমারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তাঁর দাবি, কাজ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও পক্ষপাত হয় না। কোলিয়ারির আইএনটিটিইউসি নেতা সুকুমার ভট্টাচার্যেরও দাবি, “রবিবার কাজ না পাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে পরাশিয়া ৬/৭ ইনক্লাইনে অতিরিক্ত কয়লা দেওয়ার দাবি না মানায় এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা ম্যানেজারকে মারধর করেন। তার পর থেকে অফিসারেরা ওই জায়গায় কাজ বন্ধ রেখেছেন। ইসিএলের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দামোদর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসছি।”
অভিযুক্ত খনিকর্মী অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে তাঁকে।
|