চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে শনিবার পিংলা ব্লক হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। বিক্ষোভ সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠাতে হয়। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তার পর বিক্ষোভ থামে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য-স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “পিংলায় একটা সমস্যা হয়েছিল, আলোচনায় মিটে গিয়েছে।” ব্লক হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পিংলা থানা এলাকার জোহাটের তিলোত্তমা সাউকে (৩৪) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক’দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। রক্ত পরীক্ষার পরে দুপুরে চিকিৎসকেরা জানান, তিলোত্তমাদেবীর টায়ফয়েড হয়েছে। ওষুধও দেওয়া হয়। কিন্তু সন্ধে হতেই ওই রোগিনীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তিলোত্তমার স্বামী নারায়ণ সাউয়ের অভিযোগ, “তখনও ওর শরীর খুব খারাপ। তাই ছুটি না দিয়ে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসার অনুরোধ করি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে কথায় কান দেননি। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরেই ও মারা যায়।” ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার রাতেই বিক্ষোভ দেখান ব্লক হাসপাতালের সামনে। শনিবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়।
|
তপনে ম্যালেরিয়া আরও ৪ যুবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
গুজরাত ফেরত আট যুবকের মধ্যে ৪ জনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলল তপনের চক হোসেন গ্রামে। শনিবার সকালে ওই যুবকেরা গ্রামে ফেরেন। তপন থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, আরএসপি নেতা জিল্লুর রহমান তাঁদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মণ্ডল বলেন, “রক্তপরীক্ষায় ৪ জনের শরীরের ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।” গঙ্গারামপুরের বাসুরিয়া এলাকায় চারটি বাচ্চাও ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত বলেও প্রাথমিক ভাবে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবারই জ্বরে আক্রান্ত দশ মাসের একটি ও দু’বছরের দু’টি শিশু ছাড়াও ১১ বছরের এক বালককে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’মাস আগে চক হোসেন এলাকা থেকে যুবকেরা দল বেঁধে শ্রমিকের কাজ করতে গুজরাতে গিয়েছিলেন। এক জন সেখানেই মারা যান। বাকি অনেকেই জ্বর নিয়ে ফিরে এসেছেন। এ দিন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, তপন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ওই এলাকায় যান। ফের ২১ জনের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “গত এক সপ্তাহে গুজরাত ফেরত ৩৫ জন যুবকের মধ্যে ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছে। ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত অন্য এক যুবককে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” |