টুকরো খবর
জখম বালিকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন রেজ্জাক
দলীয় কর্মী-বৈঠকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় জখম এক বালিকাকে নিজের গাড়িতে তুলে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালেন সিপিএম নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরীর আত্মীয়দের হাতে তিনি আড়াই হাজার টাকাও তুলে দেন চিকিৎসার জন্য। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানা এলাকার নাগরতলার কাছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকড়ির বাড়ি থেকে গাড়িতে জীবনতলায় যাচ্ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। মেহেরুন্নেসা খাতুন নামে বছর বারোর ওই বালিকার মামারবাড়ি নারায়ণপুরের দোয়াঘাটায়। কাছেই নাগরতলা। সেখানে এক বন্ধুকে নিয়ে সাইকেল চালানো শিখছিল মেহেরুন্নেসা। রেজ্জাক মোল্লার গাড়ির হর্ন শুনে মেহেরুন্নেসা সাইকেল নিয়ে রাস্তার ধারে যেতে গিয়ে কিছুটা নীচে নেমে যায়। টাল সামলাতে না পেরে দু’জনেই পড়ে যায়। হাতে-পায়ে চোট পায় মেহেরুন্নেসা। রেজ্জাক মোল্লা তাকে গাড়িতে তুলে নেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মেহেরুন্নেসার মামা ইদ্রিস আলি নস্কর ওই নার্সিংহোমে পৌঁছন। সেখানে বালিকাটির প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কলকাতায় নিয়ে গিয়ে মেহেরুন্নেসার চিকিৎসা করানোর পরামর্শও দেন রেজ্জাক। ওই সিপিএম নেতা বলেন, “এখানে চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। তাই মেয়েটির আত্মীয়দের আড়াই হাজার টাকা দিয়েছি, যাতে কলকাতায় গিয়ে হাত-পায়ের চোট গুরুতর কিনা, তা পরীক্ষা করাতে পারে।” এর পরে রেজ্জাক জীবনতলায় চলে যান।

সিঙ্গুর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে টাটারা
সিঙ্গুর আইনকে বৈধ ও সাংবিধানিক বলে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে টাটা মোটরস। এই বিষয়ে শনিবার তারা রাজ্য সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দিয়েছে। পুজোর ছুটির পরে সোমবার আদালত খুলছে। সে দিন টাটাদের আদালতের কাছে আবেদন জমা দেওয়ার কথা। আশা করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে শুনানি শুরু হতে পারে।
ক্ষমতায় আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে সিঙ্গুর আইনটি করে সিঙ্গুরের জমি খাস করে নেয়, তাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল টাটা মোটরস। গত ২৮ সেপ্টেম্বরের রায়ে তাদের সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন, রাজ্যের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবে টাটারা। এবং অবিলম্বে। কী ভাবে ক্ষতিপূরণ, সেই পদ্ধতি হাইকোর্টই ঠিক করে দেবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি জানান, ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই রায় কার্যকর হবে না। তার মধ্যে টাটারা চাইলে উচ্চতর বেঞ্চ বা আদালতে যেতে পারে। সেই পথেই এ বার টাটা মোটরস হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার তারা আবেদনটি জমা দিলে তার পরে জানা যাবে, ডিভিশন বেঞ্চে কোন কোন বিচারপতি থাকবেন এবং শুনানি কবে থেকে শুরু হবে।

ধানখেত ও খালে দুই ছাত্রের দেহ
দুই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। হরিপালের পূর্ব নারায়ণপুরে ধানখেত থেকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের দেহ মেলে। তার নাম সৌরভ ধারা (১০)। ওই গ্রামেই তার বাড়ি। শনিবার সকালে দেহটি উদ্ধার করা হয়। অন্য দিকে, এ দিনই বাঁকুড়ার খাতড়া থানার ডাকাইগ্রামের কাছে কংসাবতী সেচ খালের জলে ভেসে থাকতে দেখা যায় আর এক ছাত্রের দেহ। আকাশ সেন (১৪) নামের ওই কিশোরের বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের বাহাদুরগঞ্জে। সৌরভের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সে নিখোঁজ ছিল। বাড়ির লোকেদের সন্দেহ, তাঁদের পড়শি তথা দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে সৌরভকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানায়, বালকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু জিনিস দিয়ে আঘাত করে তাকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে, কালীপুজোয় খাতড়ায় মামারবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল আকাশ। সে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা তরুন সেন জানান, শুক্রবার বিকেলে সে দু’জন বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় দেড়ুয়ায় ঘুরতে যায়। তারপর আর ফেরেনি। পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “ওই কিশোরের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেনি।

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জখম ১০
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে শুক্র ও শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোঘাটের বালি এবং আরামবাগের নৈসরাই এলাকা। দু’টি ঘটনায় আহত অন্তত ১০ জন। তাঁদের মধ্যে এক সিপিএম কর্মীও রয়েছেন। শুক্রবার সকাল থেকে গোঘাটের বালি এলাকায় এক সিপিএম কর্মীর বন্ধ দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। অভিযোগ, তৃণমূলের ফতোয়ায় গত মে মাস থেকে মুরগির মাংস বিক্রির ওই দোকানটি বন্ধ ছিল। মধুসূদন সাঁতরা নামে ওই সিপিএম কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার ভাইফোঁটার দিন তিনি দোকান খুলেছিলেন। দোকান খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কিন্তু তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর লোকেরা হামলা চালায়। মুরগি এবং মাছ লুঠ করা হয়। মধুসূদনবাবু প্রহৃত হন। এর পরেই বালি এবং সংলগ্ন কানাইপুর গ্রামের তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। শনিবার সকালেও কয়েক দফায় মারামারি হয়। শুক্রবার রাতে গোলমাল হয় আরামবাগের নৈসরাইয়ে। চলে বোমাবাজি। লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি আরম্ভ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি ঘটনাতেই পুলিশ লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। পুলিশ লাঠি চালানোর কথা মানেনি। নৈসরাইয়ের ঘটনায় তৃণমূলের ৪ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নৈসরাইয়ের ঘটনায় বিবদমান তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীরই দাবি, সিপিএমের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দলেরই একাংশ হামলা চালিয়েছে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি।

দু’টি মিলে আগুন
শনিবার দুপুরে টিটাগড় এবং নৈহাটির দু’টি জুটমিলে পর পর আগুন লাগে। দমকল সূত্রে খবর, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ টিটাগড়ে ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি জুটমিলের গুদামে আগুন লাগে। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ, ওই গুদামে অগ্নিনির্বাপণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছিল না। নৈহাটির ঘোষপাড়া রোডের একটি জুটমিলের গুদামে আগুন লাগে দুপুর ২টা নাগাদ। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন তা নিভিয়ে ফেলে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.