|
|
|
|
নন্দীগ্রামের সেই নিখোঁজদের নিয়ে তদন্ত শুরু সিআইডি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামের নিখোঁজ ৯ জনের কী পরিণতি হল, হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত শুরু করল সিআইডি। চার বছর আগে সিপিএমের ‘পুনর্দখল’ পর্বে নন্দীগ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি’র ওই ৯ সমর্থক।
শনিবার বিকেলে ডিএসপি তাজ মহম্মদের নেতৃত্বে সিআইডি-র দল নন্দীগ্রাম পৌঁছেছে। প্রাথমিক ভাবে নিখোঁজদের বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন সিআইডি-র অফিসারেরা। পরে তাঁরা সোনাচূড়া বাজার হয়ে সন্ধের দিকে তেখালিতেও যান।
২০০৭-এর ১০ নভেম্বর সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’ পর্বে এই তেখালিতেই ভূমি-কমিটির মিছিলে সিপিএমের ‘সশস্ত্র বাহিনী’ গুলি, বোমা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শ্যামলী মান্না ও রেজাউল করিম নামে দু’জনের দেহ সে রাতেই উদ্ধার হয়। কিন্তু খোঁজ মেলেনি আরও বেশ কয়েক জনের। পরে হাসপাতালে আহত অবস্থায় কয়েক জনের সন্ধান মেলে। কিন্তু গোকুলনগরের প্রাক্তন সেনাকর্মী আদিত্য বেরা, সোনাচূড়ার সুবল মাজিদের মতো ৯ জনের খোঁজ মেলেনি চার বছরেও।
সুবল মাজির দাদা বিশ্বপতি বলেন, “আমিও মিছিলে ছিলাম। কিছুটা সামনের দিকে। তেখালি বাজারের কাছে মিছিলের পিছনের দিকে গুলি চালানো হয়। একটা পাকা তিন তলা বাড়ির ছাদ থেকে সিপিএমের লোকজন গুলি ছোড়ে। পিছন ফিরে দেখি, দাদার পায়ে গুলি লেগেছে। পড়ে যাচ্ছে। ছুটে দাদাকে তুলতে গিয়েছিলাম। সিপিএমের লোকজন আমাকে মেরে সরিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দাদাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। আমি কোনও রকমে ধানজমি ধরে দৌড়ে পালাই।” আদিত্যবাবুর ছেলে পূর্ণেন্দুর কথায়, “আমরা আজও জানি না বাবা বেঁচে আছেন, না নেই। শুনেছি ওরা বাবাকে খেজুরির দিকে নিয়ে চলে গিয়েছিল। আর খোঁজ পাইনি। জীবিত না মৃত, তার মীমাংসা না হওয়ায় সেনাবাহিনী থেকে বাবার পেনশনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ৬ জনের পরিবার। খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, ২০০৭-এর ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশি গুলিচালনার দিন নিহত, আহতদের আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ মিললেও ১০ নভেম্বরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা কিন্তু কোনও সরকারি সাহায্যই পাননি।
নিখোঁজদের পরিজনেদের কারও কারও অভিযোগ, মিছিলে হামলার পরে আহতদের এবং নিহতদের কয়কে জনের দেহ তেখালি পেরিয়ে খেজুরির দিকে নিয়ে গিয়েছিল সিপিএমের লোকজন। পরে সেই দেহগুলি লোপাট করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় নন্দীগ্রাম, খেজুরির আঞ্চলিক স্তরের বাইরে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাস্তরের কয়েক জন সিপিএম নেতারও ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। বস্তুত, সেই ১০ নভেম্বর রাতেই নন্দীগ্রামের তিন আহতকে খেজুরি থেকে গাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে যাওয়ার পথে এগরায় ধরা পড়েছিলেন তপন ঘোষ, সুকুর আলি-সহ ১২ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। কল্পনা মুনিয়ান, ভিকেন গায়েন, যাদব পালযে তিন জনকে আহত অবস্থায় গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, পরে তাঁরা মামলাও করেন। সেই মামলারও নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। নতুন করে সিআইডি তদন্ত শুরু হওয়ায় তাঁরাও বিচারের আশায় বুক বাঁধছেন।
|
শ্যামবাজারের বালকের হদিস কোলাঘাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সাত দিন আগে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার অঞ্চলের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বছর আটেকের ওক বালক, শঙ্কর দাসের হদিস মিলল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে। শনিবার দুপুরে কোলাঘাটের শরৎ সেতুর কাছে একটি টেলিফোন বুথে ওই বালককে নিয়ে ফোন করতে আসে এক ব্যক্তি। বালকটি বুথের সামনে ঘোরাফেরা করছিল। সঙ্গী লোকটিকে নিয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে তার বাড়ি কলকাতার শ্যামবাজারে। তখনই ফোন করতে আসা লোকটিকে অপহরণকারী সন্দেহে পাকড়াওয়ের চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু লোকটি পালিয়ে যায়। এর পরেই বাসিন্দারা কোলাঘাট থানায় যোযাযোগ করে। পুলিশ এসে শঙ্করকে নিয়ে যায়। পুলিশ জানতে পারে, গত ২৪ অক্টোবর কলকাতার শ্যামপুকুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন শঙ্করের বাড়ির লোক। পুলিশ জেনেছে, মাঝে কয়েকদিন ছেলেটিকে নন্দীগ্রামে রাখা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|