|
|
|
|
তৃণমূল বিধায়কের গ্রামেই ইস্তফা চেয়ে পোস্টার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শালবনি |
রাজ্য সরকারের সঙ্গে মাওবাদীদের শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই জঙ্গলমহলে ঘনাচ্ছে অশান্তির মেঘ।
শনিবার সকালে শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর গ্রাম কয়মা থেকে শাসকদলের বিধায়কদের ইস্তফা দাবি করে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হল। ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন না করা’য় বিধায়কদের ইস্তফা দাবি করার পাশাপাশি, সাধারণ তৃণমূল কর্মীদেরও দল ছাড়ার ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। কিছু পোস্টারে বন্দিমুক্তি, যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার না করা--বর্তমান শাসকদলের ‘বেইমানি’ বলে তোপ দাগা হয়েছে।
এই পোস্টার উদ্ধার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে পুলিশ। কারণ, মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরষি থেকে ৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর লালগড়ে যাওয়ার পথে ঝিটকায় উদ্ধার হয়েছিল ‘ডিরেকশনাল মাইন’, যা মাওবাদীদের নাশকতারই ছক বলে দাবি পুলিশের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির কথায়, “কে বা কারা পোস্টার সাঁটিয়েছে, তার কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত এগোচ্ছে।” |
|
শালবনিতে বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর গ্রাম কয়মায় সেই মাওবাদী পোস্টার।—নিজস্ব চিত্র |
কয়মা ছাড়াও শালবনিরই ভীমপুর, পিড়রাকুলি থেকেও একই বয়ানের পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। ভীমপুরে পোস্টার সাঁটা হয়েছিল তৃণমূল কার্যালয়ের দেওয়ালেই। গত রবিবার গোয়ালতোড়েও এমনই পোস্টার নজরে এসেছিল। তার আগের দিনই গোয়ালতোড়ের পিংবনিতে সভা করে প্রতিরোধের পথে মাওবাদীদের ‘উৎখাত’ করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু-সহ তৃণমূল নেতারা। বলেছিলেন, মাওবাদীদের ঠেকাতে ‘অতন্দ্র প্রহরা’র ব্যবস্থা চালু করার কথা।
তার পরে পর পর বিস্ফোরক, মাইন, পোস্টার উদ্ধারের ঘটনাগুলিকে অশান্তি বাড়ার পূর্ব-লক্ষণ হিসেবেই দেখছে পুলিশ-প্রশাসন। নিরাপত্তা নিয়ে শাসকদলের বিধায়কদের আগেই অবশ্য সতর্ক করেছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের এক মন্ত্রী-সহ ৫ তৃণমূল বিধায়ককেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
নানা ‘আশঙ্কা’য় বেশ কিছু দিন ধরেই কয়মা গ্রামের বাড়িতে থাকছেন না বিধায়ক শ্রীকান্তবাবু। বিধায়কের মা লক্ষ্মীরানি মাহাতো অবশ্য গ্রামেই থাকেন। পোস্টার-প্রসঙ্গে বিধায়কের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “শুনেছি, রাস্তার ধারে কয়েকটা পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না। মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। মানুষের উপরে কেউ নেই।” |
|
|
|
|
|