হাতির হামলায় মৃত্যু হল দু’জনের। একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়িতে। অন্যটি পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে। মৃতদের নাম বুধুয়া বাকলা (৫৫) ও পল্টু মাহাতো (২০)। পাকা ধানের লোভে ভারত-নেপাল সীমান্তের নকশালবাড়িতে জঙ্গল থেকে মাঝেমধ্যেই লাগোয়া লোকালয়ের ধানখেতে হানা দিতে শুরু করেছে হাতির পাল। বন দফতর সূত্রের খবর, ১৫-১৬টি হাতির একটি দল ওই এলাকায় ঘোরাফেরা শুরু করেছে। শনিবার সকালে হাতির পালের মুখোমুখি পড়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান বুধুয়া বাকলা। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বন দফতরের কর্মীরা হাতির পালটিকে জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেন। কার্শিয়াংয়ের ডিএফও ওয়াই ডি এডেন বলেন, “বুধুয়া কানে শুনতে পেতেন না। তাই তিনি হাতির পালের আওয়াজ পাননি। ফলে হাতির মুখে পড়ে যান।” বাঘমুণ্ডিতে সঙ্গীদের সঙ্গে হাতির দল দেখতে গিয়ে দাঁতালের হামলায় মৃত্যু হয়েছে পল্টু মাহাতোর। শনিবার সকালে বাঘমুণ্ডি থানার কুদনা গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে। পল্টুর বাড়ি বাঘমুণ্ডি থানার চিকনবাগান গ্রামে। পুরুলিয়ার ডিএফও অজয়কুমার দাস বলেন, “এ দিনই মৃতের পরিবারকে প্রাথমিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা হাতির দলটিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে ঝাড়খণ্ড থেকে প্রায় ২৪টি হাতির দল বাঘমুণ্ডির অযোধ্যা পাহাড় এলাকায় ঢোকে। এ দিন সকালে চিকনবাগান গ্রাম থেকে পল্টু-সহ কয়েকজন কুদনা গ্রামে হাতির দলটিকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় দলছুট একটি দাঁতাল ওঁদের দিকে তেড়ে যায়। সাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে মাটিতে পল্টু পড়ে যান। দাঁতালটি তাঁকে সামনে পেয়ে প্রথমে তাঁর উরুতে দাঁত ঢুকিয়ে দেয়। তার পরে দেহটি পা দিয়ে থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
জঙ্গি ও হাতির হানায় বেহাল গ্রামবাসীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাতে দুষ্কৃতীদের হানায় গ্রাম ছেড়ে পালালেন বাসিন্দারা। সকালে ফিরে এসে দেখলেন, বাড়ি-ঘর ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে বুনো হাতির পাল। ঘটনাটি ঘটেছে অসম-নাগাল্যান্ড সীমানার চড়াইদেওতে। পুলিশ জানায়, শিবসাগর জেলার চড়াইদেওতে বারবারই নাগা জঙ্গি ও দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। গত রাতে, জানিকপথার গ্রামের বাসিন্দারা গুলি চলার শব্দ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, নাগা বন্দুকধারীরা সীমানা পেরিয়ে গ্রামে হাজির। শূন্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে গ্রামবাসীদের অবিলম্বে গ্রাম খালি করতে বলে তারা। গ্রামবাসীরা পুলিশ ও বনদফতরকে খবর দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘণ্টাদুয়েক পরে পুলিশ গ্রামে গেলে নাগা বন্দুকধারীরা পালায়। আজ সকালে গ্রামবাসীরা গ্রামে ফিরে দেখেন অধিকাংশ বাড়ি ভেঙে, লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে হাতির পাল। সাধারণত রাতে হাতি এলে গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে তাদের তাড়ায়। কাল বিনা বাধায় গ্রামে ঢোকে হাতিরা। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে, সকালেও হাতিবাহিনী গ্রামের সীমানায় ঘোরাফেরা করছিল। গ্রামবাসীরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
|
বাঁচল ১০০ কুকুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বন্ধের জেরে প্রাণে বাঁচল ১০০ কুকুর। খাওয়ার পাতে না গিয়ে, ফের মুক্ত হল তারা। ঘটনাটি ঘটেছে নগাঁওয়ের কামপুরে। স্থানীয় দুই গাড়ি চালক ৮ দিন নিখোঁজ থাকায়, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ভাড়া গাড়ির চালকরা আজ ১২ ঘণ্টা কামপুর বন্ধ ডেকেছিলেন। বেলা বারোটা নাগাদ একটি মারুতি ওমনি, তীব্র বেগে বন্ধ অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গাড়িটিকে ধাওয়া করে কপিলি সেতুর কাছে থামানো হয়। গাড়ির ভিতর ও ছাদ থেকে একশোটি কুকুর নামান অবরোধকারীরা। গাড়ির চালক ও চার মহিলা আরোহী জানান, কার্বি আংলং জেলার ভকসং থেকে কুকুরগুলিকে ধরা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। কুকুরগুলিকে মুক্তি দিয়ে, চার মহিলা সারমেয়-পাচারকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
|
হরিণের শিং-সহ ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
২টি হরিণের শিং সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে খড়িবাড়ি থানার নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি থেকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম স্বপন সরকার। তার বাড়ি পানিট্যাঙ্কিতে। তার কাছ থেকে ২ টি হরিণের শিং উদ্ধার করা হয়েছে। নেপালে পাচার করার জন্য সেটি পানিট্যাঙ্কিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। |