চোদ্দো লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেওয়া এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও গয়না উদ্ধার হয়নি। ধৃত দুষ্কৃতী বিপিন পাণ্ডের সঙ্গীকে পুলিশ খুঁজছে। পুলিশ জানায়, গয়নার দোকানের মালিক সেজে প্রতারণার ছক কষেছিল বিপিন ও তার সঙ্গী। পোস্তায় অলঙ্কার তৈরির কারখানা রয়েছে সুনীল কোলের। অভিযোগ, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে তাঁর দোকান থেকে ১৪ লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল ওই দুই যুবক। শনিবার বিপিনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বছর তেত্রিশের বিপিনের বাড়ি হাওড়ার লিলুয়ায়। পুলিশ জানায়, দিন পাঁচেক আগে পোস্তার শিকদারপাড়া লেনে সুনীলবাবুর দোকানে যায় বিপিন ও তার সঙ্গী। নিজেদের সোনার গয়নার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেয় তারা। সুনীলবাবুর তৈরি সোনার চুড়ির নকশা তাদের পছন্দ হয়েছে বলেও জানায়। ওই দিন সুনীলবাবুকে বৌবাজারের মলঙ্গা লেনে একটি সোনার দোকানে নিয়ে যায় বিপিনরা। তারা জানিয়েছিল, দোকানটি তাদেরই। দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে এই দুই যুবকের ব্যবহার দেখে সন্দেহ করেননি সুনীলবাবুও। সন্ধ্যায় ফের ওই দুই যুবকের সঙ্গে দোকানটিতে যান সুনীলবাবু। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রায় ৫৭০ গ্রাম ওজনের সোনার চুড়ি। বিপিনরা সুনীলবাবুকে আশ্বাস দেয়, পর দিন সকালেই চুড়ির টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, বড়বাজারে হামেশাই এ রকম মুখের কথায় ব্যবসা হয়। তার উপরে সুনীলবাবু নিজে গিয়ে দোকান দেখে এসেছিলেন। তাই বিশ্বাস করে সোনার চুড়িগুলি দিয়ে দেন। কিন্তু পরের দিন যুবকদের মোবাইলে আর যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীলবাবু।
|
হেস্টিংস থানা এলাকার হসপিটাল রোডের ধার থেকে উদ্ধার মহিলার গলাকাটা দেহ শনিবার শনাক্ত হল। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম ছন্দা চট্টোপাধ্যায় (৫০)। বাড়ি ওই থানা এলাকার রামকমল স্ট্রিটে। শুক্রবার রাত সওয়া আটটা নাগাদ রেস কোর্সের বেড়ার ধার থেকে ছন্দাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন সকালে মায়ের দেহ শনাক্ত করেন ছন্দাদেবীর ছেলে শুভ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেন ছন্দাদেবী। পাশে একটি রক্তমাখা ব্লেডও পেয়েছে পুলিশ। তবে এসএসকেএম-এ ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। শুভ পুলিশকে জানান, বছর দু’য়েক আগে বাবা প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। বাবার জমানো টাকাতেই সংসার চলে। সম্প্রতি শুভ একটি সোনা প্রস্তুতকারক সংস্থার দোকানে চাকরি পেয়েছেন। শুভর জ্যাঠতুতো দাদা অরিন্দম বলেন, “আত্মীয়-প্রতিবেশীর সঙ্গে কাকিমার ভাল সম্পর্ক ছিল। তবে কাকুর মৃত্যুতে কাকিমা অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।” শুক্রবার কালীপুজোর বিসর্জনের প্রস্তুতির সময়ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা হয় ছন্দাদেবীর। এর পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও ছন্দাদেবী না ফেরায় রাতে ওয়াটগঞ্জ থানায় তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
|
বিসর্জনের পথে মিনিডোর উল্টে মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্র-সহ দু’জনের। শনিবার বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে আলিপুর থানা এলাকার নিউ রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রাজু চক্রবর্তী (১৮) এবং শেখ ইউনুস (১২)। মৃতেরা চেতলার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় স্থানীয় তিন মহিলা আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, চেতলার রাজা সন্তোষ রোডের একটি কালীপুজোর মণ্ডপ থেকে বিসর্জনের উদ্দেশে এ দিন দু’টি মিনিডোর বেরিয়েছিল। রাজু অটোচালক। ইউনুস পড়ত স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে। বিমল দাস নামে ওই ক্লাবের এক সদস্য এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে বলেন, “পাড়ার মহিলাদের সঙ্গে রাজু ও ইউনুস প্রথম মিনিডোরটিতে ছিল। ইউনুস বসেছিল ছাদে।” বর্ধমান রোড হয়ে নিউ রোডে ঢুকে গাড়িটি যখন জাজেস কোর্ট রোডের দিকে যাচ্ছিল, তখন আচমকাই সেটি ধাক্কা মারে একটি মোটর সাইকেলে। এর পরেই সেটি বাঁ দিকে কাত হয়ে যায়। পড়ে যায় রাজু ও ইউনুস। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। মিনিডোরটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালক পলাতক। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা।
|
ভোটের আগেই বলেছিলেন, কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন। তারই অঙ্গ গঙ্গার দু’পাড়ের সৌন্দর্যায়ন। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে তা বিস্তারিত জানতে শনিবার সন্ধ্যায় হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্সের (এইচআরবিসি) ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ওই অফিসে বসেই বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইচআরবিসি অফিসে মানচিত্র ফেলে ইঞ্জিনিয়ারেরা তাঁকে পরিকল্পনার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই এলাকার সৌন্দর্য বাড়াতে একটা পাখিরালয় তৈরি হবে। শিশুরা যাতে আনন্দ পায় তার জন্য বড় একটা অ্যাকিউরিয়ম থাকবে। রাজ্যের হস্তশিল্পকে তুলে ধরতে গঙ্গার গা ঘেঁষে তৈরি হবে ‘কলকাতা হাট’। সেখানে ছোট ছোট দোকান হবে। নানা ধরণের শিল্পসামগ্রী বিক্রি হবে। পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় রেখে কাঠ দিয়ে সেগুলো তৈরি হবে। এ দিন মহাকরণ থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান প্রিন্সেপ ঘাটে। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয় এবং এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
আগুন লেগে পুড়ে গেল দমদমের একটি প্লাস্টিক কারখানা। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দমদমের প্রফুল্লনগরে প্রাইভেট রোডে। ঘনবসতি অঞ্চলের মধ্যে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর যায় দমকলে। শেষে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় প্লাস্টিক কারখানার আগুন আয়ত্ত্বে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই কারখানার মালিক শঙ্কর সাহা আহত হয়েছেন। কারখানার আশপাশে জনবসতি থাকায় সেখানেও আতঙ্কও ছড়িয়েছে। তবে এলাকার কোনও বাড়িতে আগুন ছড়ায়নি। তবে কারখানাটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
|
ভারতে বেড়াতে এসে কলকাতা থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ভুটানের এক চিকিৎসক কর্মা সাঙ্গে। পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে তিনি পুনে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে শনিবার স্ত্রী ও এক বন্ধুর সঙ্গে সল্টলেক সিটি সেন্টারে যান। তার পর থেকে সাঙ্গের খোঁজ মেলেনি। শনিবার রাতে বিধাননগর (উত্তর) থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসকের স্ত্রী। |