কাজ আটকে বিক্ষোভ, ঘেরাও চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ সেই বার্তা কার্যত উপেক্ষা করেই শনিবার দুপুরে সিইএসসি-র সদর দফতরে এক কর্তাকে টানা তিন ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখল তৃণমূলের কর্মী ইউনিয়ন।
ঘড়িতে তখন দুপুর ১টা ২০। স্লোগান দিতে দিতে সিইএসসি দফতরের সিঁড়ি দিয়ে উঠে এলেন সংস্থার শ’দেড়েক কর্মী। নেতৃত্বে তৃণমূল সমর্থিত ‘সিইএসসি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন’। কয়েক জন নেতা সংস্থার বণ্টন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিরুদ্ধ বসুর ঘরে ঢুকে বললেন, “আপনি ঘেরাও হলেন!”
সেই ঘেরাও চলে টানা তিন ঘণ্টা। ইউনিয়নের বিভিন্ন দাবির মধ্যে ছিল সংস্থার দুই অফিসারকে বদলির নির্দেশ বাতিল করা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রবীর বিশ্বাস। তিনি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই সিটু ইউনিয়নের কথা শুনে চলছেন সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। সেটা চলবে না। কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ ভাবে চলুন।” তাঁর অভিযোগ, “অনিরূদ্ধবাবু কোনও আলোচনায় যেতে চাইছেন না বলেই এই বিক্ষোভ।” অনিরুদ্ধবাবু যদিও পক্ষপাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শেষ পর্যন্ত স্থির হয়, ইউনিয়নের দাবি নিয়ে বৈঠক হবে আগামী ৩ নভেম্বর।
এই সংস্থায় দীর্ঘ দিন ধরেই ৫০%-এর বেশি ভোট পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার একমাত্র অধিকার ছিল সিটু ইউনিয়নের। সংস্থার এক কর্তার অভিযোগ, ২০১২ সালের মে মাসে ইউনিয়নের নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে ইউনিয়ন দখল করতে মরিয়া তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে ইদানিং নানা কারণে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এ ভাবে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় সংস্থার বিভিন্ন অফিসে মাঝেমাঝেই ছোটখাট গোলমাল বাধছে।
ওই কর্তার মতে, “দাবিদাওয়া নিয়ে কথা হতেই পারে। কিন্তু ঘেরাও কেন?” শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তথা বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যদিও পরে ঘটনা শুনে বলেন, “অফিসারদের বদলি নিয়ে কোনও ইউনিয়নের কথা বলা ঠিক নয়। এর পর দিন যখন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে, তখন এই দাবি আর উঠবে না।” |