|
|
|
|
|
|
মঞ্চের বাইরে সুদর্শন চক্রবর্তী-র মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
পড়াশোনা?
সুদর্শন: গঙ্গানগর জুলিয়ন ডে স্কুল। তার পর সল্ট লেক কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়। গোয়েঙ্কা কলেজ। তার পর আই এস ডব্লিউ বি এম থেকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স। এবং কস্ট অ্যাকাউন্টেন্ট।
আপনার পড়াশোনা বলছে, ‘মুদ্রা’ দেখানোর জন্য নয়, বরং কাঁড়িকাঁড়ি মুদ্রা অর্জন করার অর্থাৎ কোট-টাই পরে কর্পোরেট চাকুরে হওয়া উচিত ছিল।
সুদর্শন: (হাসি) হ্যাঁ, পড়াশোনাটা ফিনান্সিয়াল, এইচ আর ডি নিয়ে হলেও আমি মনে করি নাচে কোথাও না কোথাও এসে পড়ে আমার এডুকেশনের রিফ্লেকশনটা। নাচেও শিক্ষাটা খুব দরকারি।
নাচ কারও কাছে শিখেছেন?
সুদর্শন: ভারতনাট্যম শিখেছি বন্দনা দাশগুপ্তর কাছে। কথাকলি শিখেছি গুরু গোবিন্দন কুট্টির কাছে। সমকালীন আধুনিক নৃত্য শিখেছি নানা গ্লেসন, মিচেল ক্যাসানোভাস আর ক্রিস্টোফার লেচনার থেকে। আমি নিজের মতো করে একটা অরগ্যানিক ইডিয়ম বা শৈলী তৈরি করেছি আমার দল ‘স্যাফায়ার’-এ।
আপনি সমকালীন আধুনিক নৃত্য নিয়ে এত কাটাছেঁড়া করছেন কেন?
সুদর্শন: একই নাচ, একই রকম ভাবে বছরের পর বছর পরিবেশিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক স্তর ছেড়ে দিলাম, রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও যদি ভাবি আধুনিক নৃত্যে কলকাতা অনেক পিছিয়ে। ট্যালেন্ট আছে আমাদের প্রচুর। কিন্তু একটু সুযোগ দরকার।
কিন্তু এই বিবর্তনটা কি ভাবে আসবে?
সুদর্শন: অ্যাকাডেমি খোলার পরিকল্পনা আছে। কাজটা অনেকটা এগিয়েও গেছে। ডান্স ইন এডুকেশনটাকে মূলত নিয়ে আসতে চাইছি। তার সঙ্গে নানান দেশ নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা থেকে ছেলেমেয়েরা আসবে এখানে নাচ শিখতে। একেবারে আন্তর্জাতিক মানের নাচ শেখানো হবে। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যই নয়, ইন্ডিয়ান এসথেটিক্স ডান্স শেখানো হবে। এক দিকে ট্র্যাডিশনাল নলেজ দেওয়া হবে। মূলত চেষ্টা করব পাশ্চাত্য দেশ থেকে টিচারদের নিয়ে আসার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকেও টিচার আসবেন।
আপনি যে নতুন কিছু করার আনন্দে মেতে উঠেছেন, তাতে আপনার সমালোচনা হয় না?
সুদর্শন: প্রচণ্ড নিন্দে হয়েছে, হচ্ছে। দেখুন, সব ক্ষেত্রেই নতুন কিছু করতে গেলেই সমালোচনা হবে। মানুষ প্রশ্ন তুলবেই। প্রশ্ন তোলা তো ভাল। সেটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। কিন্তু মানুষজন একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। রুচির বিকৃতি নয়, কিন্তু সময় সাপেক্ষে পাল্টাতে হবে। ‘শ্যামা’, ‘চিত্রাঙ্গাদা’, ‘তাসের দেশ’ একটু কস্টিউম, একটু প্রেজেন্টেশনে বদলেছি মাত্র, গল্প এক, ইমোশন এক, গান এক। রবীন্দ্রনাথের উপর পুরোপুরি শ্রদ্ধা রেখেই এটা করেছি।
নাচে আইডল?
সুদর্শন: মঞ্জুশ্রী চাকী সরকার। নরেন্দ্র শর্মা। আস্তাদ দেবু আমার প্রিয় এক জন মানুষ। আমি চাই ওঁর ৬০-৬৫ বছর বয়সের এনার্জিটা। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনালি অনুপ্রেরণা দেয় তাইওয়ানের ক্লাউডগেট এবং ইউএসএ-র অলভিন অ্যালি। |
|
আপনি তো বিদেশে পারফর্ম করেছেন। বিদেশি দর্শক আর বাঙালি দর্শকদের মধ্যে তফাত কোথায়?
সুদর্শন: হ্যাঁ, বহুবার। ১৩টা দেশে, ৫টা মহাদেশে অনুষ্ঠান করে এসেছি। বাঙালি দর্শকদের ক্ষেত্রে যেটা দেখেছি, নস্টালজিয়া, ইমোশন থেকে বেরোতে পারেন না। যেটা এত দিন হয়ে এসেছে, সেটার বাইরে গেলেই রে রে করে তেড়ে আসবে।
এখন টেলিভিশনে নাচের অনুষ্ঠান হচ্ছে, এই দেখে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারেও নাচের উৎসাহ বাড়ছে, এটা খারাপ না ভাল?
সুদর্শন: এটার ভাল ও খারাপ দুটো দিকই আছে। ভালর দিক হল, প্রচুর কোরিয়োগ্রাফার কাজ পাচ্ছেন। এটা একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দিচ্ছে চ্যানেলগুলি। অদ্ভুত ভাবে নাচটাকে সমাজ স্বীকৃতি দিচ্ছে। মা-বাবাদের উৎসাহ বেড়েছে। চাহিদা বেড়েছে কোরিয়োগ্রাফারদের, ইচ্ছে বেড়েছে লোকেদের নাচ দেখার, সুযোগ বেড়েছে নাচ দেখানোর, ফোরাম বেড়েছে। খারাপ দিক হল, ডিমান্ড আর সাপ্লাইয়ে একটি বিরাট ফারাক থেকে যাচ্ছে। স্কিলড কোরিয়োগ্রাফার আমার প্রয়োজন ১০ জন। আমি পাচ্ছি এক জন। তার মানে যে স্কিলড নয়, তাকে কাজটা দিতে হচ্ছে।
নতুন কী কী কাজ করছেন?
সুদর্শন: আগেই করেছি ‘এক এক্কে তিন’, আর জি মোশন পিকচারের ‘তোমার জন্য’। এ বছর করছি কিউ-এর ‘তাসের দেশ’। আবার অ্যাক্টিংয়েও ডেবিউ করছি। অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ‘চারুলতা ২০১১’ ছবিতে একটা বিশেষ চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে। এ ছাড়া প্রচুর থিয়েটারে কাজ করছি। তার মধ্যে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী সর্পমস্তা’। এবং নতুন কাজের কথাবার্তা চলছে।
কোনও স্মরণীয় ঘটনা?
সুদর্শন: ১০০০ জন স্কুলের ছাত্রের মধ্যে আমিই একমাত্র ছেলে নাচতাম। স্পোর্টসের সময় কী হত। মাইকে অ্যানাউন্স হচ্ছে, যারা ছুটবে তারা মাঠের উত্তর দিকে যাও, যারা লং জাম্প দেবে তারা অমুক দিকে, যারা নাচবে, তারা অমুক দিকে। আমি নাচের দিকে যেতেই এক জন স্যর আমায় আটকে দিলেন। তাঁর তো দোষ নেই, সে দিকে মেয়েরাই যে যাবে, এটাই তিনি জানতেন!
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• ছোটদের নিষিদ্ধ ফিল্মকে যেমন ‘এ’ মার্কা চিহ্নিত করা হয় এবং তা রমরমিয়ে চলে, তেমনই নিষিদ্ধ বাজিকে ‘ডি’ (ডেঞ্জার) মার্কা লাগিয়ে মহানন্দে ফাটাতে আইনের বাধা থাকা উচিত নয়!
চিন্ময় গুপ্ত। পরাশর রোড
• এই মুহূর্তে রাজ্যের সেতু-ভাগ্য ভাল যাচ্ছে না। বলা যায় রাজ্যকে এক প্রকার বেশ বিড়ম্বনায় ফেলেছে। সেটা পাহাড়ের বিজনবাড়ির সেতু হোক বা সরকার এবং মাওবাদীদের মধ্যস্থতাকারী জঙ্গলের সেতু!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন
• আসন্ন ঐতিহাসিক গ্রাঁ প্রি ফর্মুলা ওয়ান বুদ্ধ সার্কিট থেকে পশ্চিমবঙ্গের একটাই বিশেষ প্রাপ্তি: ‘বুদ্ধ’ লোকাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল হলেন!
সৌম্য। দক্ষিণ বারাসাত
• অবাক কাণ্ড! হঠাৎ জেলায় গাছ লাগানোর উদ্যোগ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। কারণটা জিজ্ঞেস করায় জানা গেল, জঙ্গল আর পাহাড় ছাড়া নাকি জেলার উন্নয়ন সম্ভব নয়, তাই গাছ লাগিয়ে জঙ্গল তৈরির প্রচেষ্টা! পাহাড় তো আর সম্ভব নয়!
অরিন্দম সরকার। উত্তর দিনাজপুর
• এক দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অকুপাই ‘ওয়াল’ স্ট্রিট অভিযান আর অন্য দিকে আবার আমাদের দেশে অণ্ণার কোর কমিটির আহ্বায়ক কেজরি‘ওয়াল’-এর উপর চটি নিক্ষেপ। সত্যি এখন ‘ওয়াল’দের শিরে সংক্রান্তি!
শৌভিক গুপ্ত। তেঘড়িয়া
• (ট্রাক চালককে, রবীন্দ্রগানে সমৃদ্ধ ট্রাফিক পুলিশ: ‘তুমি কিছু দিয়ে যাও, মোর হাতে, গোপনে গো...’
নীলাঞ্জন চৌধুরী। কাঁকুড়গাছি
• লিবিয়ার চার দশকের একনায়কের নৃশংস মৃত্যু অনেককে চিন্তিত করে তুলেছে। মনে হয় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও বেশ চিন্তিত! জল বিভাগের কর্মীরা এর পর বড় নিকাশি নালায় ঢুকবেন বলে মনে হয় না! কারণ, তাঁরা জেনে গেছেন যে, বড় নালায় ঢুকিয়ে মানুষকে ‘নিকাশ’ করে হয় তাকে ‘নিকাশি নালা’ বলে!
সুশান্ত ঘোষাল।
• দিদি তো কোনও দিনই আদনান শামির ‘লিফ্ট করা দে...’ গানটি গাননি। তা হলে বারাসাতের অনুরাগিণীরা কি দিদিকে কোমর ধরে উঁচুতে তুলে রাজনৈতিক ওজন কতটা বেড়েছে, তা মাপতে গিয়েছিলেন!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর
• অবশেষে ‘ছত্রাক’ ছবিতে বিমুক্তির নির্দেশে পাওলি দাম নিজেকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করলেন!
অশোক কর্মকার। হাওড়া |
|
|
অশোক রায় |
কুমোরটুলির বাড়ি থেকে উত্তর কলকাতার বলরাম ঘোষ স্ট্রিটের একটা স্টেশনারি দোকানে নিজের বাইকে চেপে প্রায়ই আসতেন তিনি। পঞ্চাশ বছর আগের স্মৃতিটা আজও টাটকা। দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বোম্বাইতে নব্বই রানের লড়াকু ইনিংস খেলে, হারা ম্যাচ ড্র করিয়ে সবে কলকাতায় ফিরেছেন। দোকানে ঢোকা মাত্র চার পাশে ভিড় জমে গেল। কয়েক দিন পরেই ইডেনে টেস্ট, তাই অল্প ক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নটা উঠে এল: কেমন দেখলেন ‘গিলক্রিস্ট’ আর ‘হল’-কে? প্রশ্নের উত্তরে, হাওয়াই শার্টের বাঁ দিকটা তুলে তিনি যা দেখিয়েছিলেন, এত দিন পরেও তা ভাবলে শিউরে ওঠে শরীর। ফর্সা পাঁজরে অন্তত দশ-বারোটা চাকা-চাকা কালশিটের দাগ। ইতিহাস যাঁদের সর্বকালের সেরা ফাস্ট বোলার বলে চিহ্নিত করেছে সেই লিন্ডওয়াল-মিলার-হল-গিলক্রিস্ট-সোবার্স-স্ট্যাথাম-ট্রুম্যানদের নতুন |
|
বল সামলেছেন হেলমেটহীন এই অকুতোভয় বাঙালি। ভারতের ‘প্রথম’ টেস্ট জয়ের ঐতিহাসিক ঘটনার পিছনেও ছিল এই পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির ঝকমকে ১১১।
বিভিন্ন লেখার প্রয়োজনে বহু বার তাঁর সঙ্গে ক্রিকেট আলোচনা হয়েছে। কোনও ব্যাটসম্যানের ‘হুক’ মারার দুর্বলতা নিয়ে একটু উস্কে দিলেই বলতেন: আরে এ সব বল তো আমি এখনও তামুক (তামাক) খেতে খেতে মারব।
মাঠে এক বার তাঁর মুখোমুখি হই একটা প্রীতি ম্যাচে। ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট দলের ক্যাপ্টেন তখন আমি। উল্টো দিকের অধিনায়ক তিনি। টসের আগে প্রথাগত করমর্দন নয়, নিজের দুটো হাত দিয়ে যত্নে জড়িয়ে ধরেছিলাম বিশ্বরেকর্ড গড়া পঙ্কজ রায়ের পুষ্ট পাঞ্জা। স্পর্শ আর উত্তাপ মনে করিয়ে দিয়েছিল, এই হাত ধরেই বাঙালির ক্রিকেট আন্তর্জাতিক পথ চলতে শিখেছিল। |
|
|
ঘরের ভেতর ঘর, তার ভেতরেও ঘর।
তার মধ্যে বসিয়েছিলে খুনি জেনারেটর।
ধোঁয়ায় দম আটক।
ভল্ট হয়েছে ফাটক।
দুই সিপাহি মরল তবু করছ তুমি নাটক।
বেসরকারি ব্যাঙ্ক, তোমার গলায় ঘুঁটের মালা।
যদিও জানি মিটবে না তো স্বজন-হারার জ্বালা! |
|
|
ভারতে এসে ইংল্যান্ডের অবস্থা:
‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’!
কাজী পারভেজ, হরিণঘাটা |
|
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
বাবা তাঁর বড় মেয়েকে নিজের শহরে বিয়ে দিয়েছিলেন সহজে দেখতে পাওয়ার আশায়। বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়িতে দেখেছি, বাড়ির গুরুজনেরা প্রতিদিন রাত্রিতে বাড়ির বউদের ‘বিচার-টেবিল’ বসাতেন। আমার ক্ষেত্রেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। বাবা মাঝে মাঝে আসতেন আমাকে দেখতে। এক দিন এসেছেন, বাড়ির গুরুজনেরা তাঁকে উপর তলায় নিয়ে যান, ও আমার সম্পর্কে নানান কথা শোনান। এবং পরে তাঁকে থালা ভর্তি মিষ্টিও খাওয়ান। ওই দিন আমাদের বাড়ি উপস্থিত ছিলেন পিসিশাশুড়ি। তিনি আমার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘আমাদের মেয়ের বাড়ির থেকে যদি এ রকম কথা শুনতে হত, তা হলে আর মেয়ের বাড়ি পা-ই দিতাম না।’ সত্যি, বাবার আর আসা হয়নি। বাবা কঠিন অসুখে মারা যান।
রীনা বিশ্বাস,
নদিয়া |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|