|
|
|
|
|
|
রবিবাসরীয় গল্প |
বিপুল নিকট |
সমরেশ মজুমদার |
নম্বরটা
বের করতে কয়েক সেকেন্ড লাগল। টিপতেই রিং শুনতে পেল অজয়। তার পর গলা ভেসে এল, ‘হ্যালো! কাকে চাই?’
‘নমস্কার। আমি কলকাতা থেকে বলছি। যদি কিছু মনে না করেন তা হলে অঞ্জনাকে ডেকে দেবেন? ও বোধ হয় আপনাদের পাশের বাড়িতে থাকে।’ অজয় সবিনয়ে বলল।
কয়েক সেকেন্ড নীরব থেকে যিনি ফোন ধরেছিলেন, বললেন, ‘ধরুন, দেখছি!’
এক দুই করে প্রায় পাঁচ মিনিট কেটে গেল। অজয়ের সন্দেহ হল লাইন চালু আছে কি না। তার পরেই এক জন বয়স্কার গলা কানে এল, ‘হ্যালো।’
‘নমস্কার। অঞ্জনা বাড়িতে আছে?’
‘আপনি কে বলছেন?’ গলার স্বর বেশ সরু।
‘আমার নাম অজয়। অঞ্জনা আমাকে চেনে।’
‘সে তো বাড়িতে নেই।’
‘ও। এলে বলবেন যার ট্যাক্সিতে সে সল্ট লেক থেকে এসেছিল, তাকে যেন একটা ফোন করে। আমার ফোন নম্বরটা লিখে রাখবেন?’
‘আমার কাছে কাগজকলম নেই। আপনি পরে ওকে ফোন করবেন।’
‘একটা কথা, কোনও সমস্যা হয়নি তো?’
‘সমস্যা! থানা থেকে লোক এসেছিল। ওকে দেখা করতে বলেছে। তাই শুনে আবার বেরিয়ে গেল। কী হয়েছে তা বললই না।’
‘আচ্ছা, রাখছি।’ মোবাইল ফোন অফ করল অজয়।
|
|
অজয় বুঝতেই পারছিল না ব্যাপারটা ঠিক কী হয়েছে। ওই লোকগুলো পুলিশের হাতে পড়েছে। পড়ে তার ট্যাক্সির নম্বর দিয়ে ঘোঁট পাকাতে চেয়েছে। নম্বর পেয়ে পুলিশ নিশ্চয়ই গ্যারাজে খোঁজ করে তার কথা জানতে পেরেছিল, নইলে এখানে আসবে কী করে! আশ্চর্য ব্যাপার হল, গ্যারাজের মালিক তো তাকে ফোন করে কারণ জানতে চাইল না। অথচ জ্ঞান দেয়, ‘আমার ট্যাক্সির ড্রাইভার যদি পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাধায়, তা হলে আমি হাত তুলে দেব।’ সেটা না হয় মেনে নেওয়া গেল, কিন্তু পুলিশ কেন খোঁজ করছে তা জানতে চাইছে না, এটা অস্বাভাবিক। দ্বিতীয়ত, অঞ্জনার বাড়ির ঠিকানা পুলিশ পেল কী করে? মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝছিল না সে।
নিজেকে গালাগাল দেওয়া ছাড়া আর কী করতে পারে অজয়। কী দরকার ছিল পরোপকার করার! অঞ্জনা জলে-কাদায় ডুবে পড়ে থাকত রাস্তায়। পাশ কাটিয়ে চলে এলে এই সব ঝামেলা ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত না। সে চিৎকার করল, ‘এই যে স্যর, আপনি কি ধারে-কাছে আছেন? শুনতে পাচ্ছেন আমার কথা? মেয়েটাকে গাড়িতে তুলেছিলাম বলে খুব পিঠ চাপড়েছিলেন। আরে আপনি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। আপনাকে যা করলে পাবলিক হাততালি দিয়েছে, এখন আমি করলে পুলিশের খপ্পড়ে পড়তে হবে। আপনি জ্ঞান না দিলে কি ওকে এই ঘরে নিয়ে আসতাম? আমি জানতাম আপনি মাইকেল মধুসূদনের দরদি বন্ধু। অথচ ওর ভয়ে যে কেটে পড়েছিলেন, তা জানতাম না। কী দরকার ছিল আমাকে পাম্প দেওয়ার। এই বাংলায় আকাশে বাতাসে যেমন মিশে ছিলেন, তেমনি থাকতে পারতেন! যত্ত সব!’
গ্যারাজের মালিকের ফোন এল অনেক পরে। পরিষ্কার কথা, ‘অজয়, এখন কয়েক দিন বিশ্রাম করো। আমি অন্য লোককে গাড়ি দিচ্ছি।’
‘কেন?’ অজয়ের গলা শুকিয়ে এল।
‘উত্তরটা তোমার জানা।’ লাইন কেটে দিল লোকটা।
মেজাজ বিগড়ে গেল। কলকাতা শহরে গ্যারাজের অভাব নেই। আজ অবধি এক বারও তার বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অপরাধে পুলিশ চিঠি পাঠায়নি। চাইলে আজই সে আর একটা ট্যাক্সি পেতে পারে। কিন্তু অজয় ঠিক করল লোকটা যখন তাকে বিশ্রাম নিতে বলল তখন তাই নেবে। গ্রামে গিয়ে দিনরাত ঘুমাবে।
সারাদিন ঘরেই কাটাল সে। বিকেলে বেরিয়ে চারশো গ্রাম খাসির মাংস কিনে এনে ঠিক করল আজ রাতে জমিয়ে খাবে। মাংস ভাল করে কষে রান্না শুরু হলে গ্লাসে মদ ঢালল অজয়। কাল গ্রামে গেলে ক’দিন মাল খাওয়া বন্ধ। আত্মীয়স্বজনরা ভাবতেই পারে না ওখানে বসে কেউ মদ খাচ্ছে।
দুটো চুমুক দেওয়ার পর সে আবার অঞ্জনাকে ফোন করল। যে সাড়া দিল সে কাঠখোট্টা গলায় বলল, ‘রাতে ডেকে দেওয়া সম্ভব নয়।’
যাচ্চলে! তখনই খেয়াল হল, সে কেন অঞ্জনার সঙ্গে কথা বলতে ফোন করছে? কী দরকার? ক’বার সে যেচে বাঁশ নেবে?
দ্বিতীয় গ্লাস ভরার সময় নাকে গন্ধ এল। মাংসটা বেশ বাস ছাড়ছে।
‘বেশ আছ। বেড়ে আছ। চালিয়ে যাও!’
গলাটা কানে আসতেই চমকে সে দরজার দিকে তাকাল। একটা লিকলিকে লোক মেঝের ওপর উবু হয়ে বসে আছে। সে ফিসফিস করল, ‘আপনি কে?’
‘আমি কেউ না। এক কালে মাল খেতাম। হুইস্কি, ব্রান্ডি, ওয়াইন, কিন্তু ভুলেও দিশি গলায় ঢালিনি। তোমাকে জম্পেশ করে মাল খেতে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। খাও, দেখি!’
অজয় হাসল, ‘দরজা বন্ধ যখন তখন আপনি নিশ্চয়ই...!’
‘হাওয়ায় মিশে থাকি। এক কালে অভিনয় করতাম। অহীন্দ্র চৌধুরী, ছবি বিশ্বাস, কার সঙ্গে করিনি। আঃ, খাও না!’ ধমকাল লোকটা।
টুক করে এক ঢোঁক গিলল অজয়।
‘আঃ!’ লোকটা গেলার আওয়াজ করল।
‘আপনার নামটা যদি দয়া করে বলেন?’
‘এক্সট্রা।’ বেশ গম্ভীর গলায় জবাব এল।
‘মানে বুঝলাম না।’ অজয় বলল।
|
|
‘টালিগঞ্জের স্টুডিয়োতে কখনও যাওনি মনে হচ্ছে। আমি রোজ যেতাম। মুখ দেখানোর পার্ট পেলে আনন্দের সঙ্গে করতাম। আমাদের বলা হত এক্সট্রা। চাকরবাকরদের চরিত্রে চান্স পেতাম না। সে সব করতেন পঞ্চানন ভট্টাচার্য, প্রীতি মজুমদার, মণি শ্রীমানী, আশুদারা। কপালে দুটো হাত ঠেকাল লোকটা, এঁরা জাত অভিনেতা ছিলেন। একটা সংলাপ, তাই সই, বলতেন, কোনও চরিত্রই ফ্যালনা নয়। আমার ভাগ্যে মাত্র দু’বার সংলাপ জুটেছিল। প্রীতিদা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এক টেকে ওকে। ডিরেক্টর হতভম্ব। বলে, ‘বাঃ। পরের ছবিতে আপনাকে বড় চরিত্রে ভাবব।’ আমার কপাল, তার আগেই বেচারা ছবি হয়ে গেল। আঃ, খাচ্ছ না কেন?’ ধমকাল লোকটা।
তাড়াতাড়ি আর একটা চুমুক দিয়ে অজয় বলল, ‘কিছু মনে করবেন না, আমার কাছে আপনি কী মনে করে এলেন?’
‘শুনলাম মধুসূদন দত্ত নাকি এখানে এসেছিল। ওই মাপের মানুষ তো কারণ ছাড়া আসবেন না। এসে দেখলাম তুমি মাল খাচ্ছ। আহা গন্ধে বুক ভরে গেল গো। শোনো, দুটো জিনিস তোমাকে বরবাদ করে দিতে পারে। মেয়েমানুষ আর মদ। প্রথমটা আমার কাছে হার মেনেছিল। ফিল্মে অভিনয় করলেও সারা জীবন চরিত্র হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছি। কিন্তু ওই মদই লিভার পচিয়ে দিয়েছিল। তুমি বোধ হয় জানো না, মধুসূদন দত্তেরও একই কেস। কিন্তু ঠিক সময়ে যদি কন্ট্রোল করতে পারো, তা হলে কোনও সমস্যাই হবে না। তা একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, ওই মেয়েমানুষটার সঙ্গে যখন তুমি বিদ্যেসাগরী ব্যবহার করলে তখন আর পেছনে ছুটছ কেন?’
‘আপনারা সব জানতে পারেন, তাই না?’
‘যে চায় সে পারে। মজাও হয়। এই ক’দিন আগে এক জন গিয়ে বিদ্যেসাগর মশাইকে নমস্কার করে বলল, ‘আপনি সাঁতার জানেন?’
বিদ্যেসাগর মশাই অন্যমনস্ক হয়ে বলেছিলেন, ‘না হে।’ ব্যস, রটে গেল যিনি সাঁতার জানতেনই না, তিনি কী করে বর্ষাকালে ভয়ানক দামোদর পার হয়ে গিয়েছিলেন মায়ের কাছে? আবার এক জন এসে আমায় বলল, তুমি তো একটু আধটু অভিনয় করতে, দাড়ি গোঁফ পরতে হত?
তা আমি বললাম, ‘নাটক করতে গিয়ে কত পরেছি।’
সে জিজ্ঞাসা করল, ‘খুলে যেত না?’
বললাম, ‘যেত না আবার। পঞ্চাশ বছর আগের ব্যাপার, প্রায়ই খুলে যেত আঠা। সব সময় সতর্ক থাকতে হত।’
তা শুনে সে কী বলল জানো? বলল, তা হলে মুখে দাড়িগোঁফ লাগিয়ে আফগান সেজে সুভাষ বসু ট্রেনে চেপে যে ভারতবর্ষের এ ধার থেকে ও ধারে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর দাড়িগোঁফের আঠা খুলল না কেন? খুললে তো যাওয়া হত না!’
শুনে অজয় ভাবতে বসল। কলেজে পড়ার সময় সুভাষচন্দ্রের মহানিষ্ক্রমণের বর্ণনা সে পড়েছিল। ঠিক কী পড়েছিল মনে করতে চেষ্টা করছিল।
কয়েক সেকেন্ড পরে মুখ তুলে দেখল লোকটা নেই! সে গলা তুলে ডাকল, ‘এক্সট্রাবাবু! আপনি কি চলে গেলেন?’
কোনও সাড়া এল না। এতক্ষণ ঘরে কেউ ছিল বলে মনে হচ্ছিল না। গ্লাসের দিকে তাকাল সে। গুরু বলেছিলেন, খবরদার দুই পেগের বেশি কখনওই খাবি না। আদেশ মেনে চলেছে সে। কিন্তু অঞ্জনার পেছনে সে ছুটছে, এমন অভিযোগ কেন করল লোকটা? কৌতূহলী হয়ে সে দু’বার ফোন করেছিল, সেটাকে কি ছোটা বলে? মাংস ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ল অজয়।
সকালে উঠে চা খেয়ে স্নান সেরে সে যখন গ্রামে যাওয়ার জন্যে দরজায় তালা দিচ্ছে, তখন পুলিশটাকে দেখতে পেল। ইউনিফর্ম না পরা থাকলেও বিহারি পুলিশগুলোকে সহজেই চেনা যায়। ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে বুট জুতো পরে তার সামনে এসে বলল, ‘ড্রাইভারভাই, আপনাকে এখন থানায় যেতে হবে।’
‘কেন?’ প্রশ্নটা বেরিয়ে এল।
‘আপনি হয় যাবেন, নয় বলুন যাবেন না।’
তর্ক করে লাভ নেই। লোকটার সঙ্গে পনেরো মিনিট হেঁটে থানায় পৌঁছল সে। সকালবেলায় থানা আর বিয়ের রাতের পরের সকালের ছাদনাতলার চেহারায় বেশ মিল আছে। ঝোলা ব্যাগটাকে নিয়ে অজয়কে বসে থাকতে হল প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট। তার পর বড়বাবু এলেন। ব্যাগ দেখেই বললেন, ‘কোথায় পালানো হচ্ছে?’
‘পালাচ্ছি না। দেশে যাচ্ছি।’
‘নো। এখন স্টেশন ছেড়ে কোথাও যাওয়া চলবে না। বসো আসছি।’
আরও আধঘণ্টা পর বড়বাবুর ঘরে ডাক পড়ল। সেখানে যেতেই বড়বাবু বললেন, ‘তোমাকে দেখলে ভদ্রলোকের ছেলে বলেই মনে হয়। যা জিজ্ঞাসা করছি তার ঠিকঠাক জবাব দেবে।’
অজয় চুপ করে থাকল।
‘মেয়েছেলেটাকে কত দিন ধরে চেন?’
‘কার কথা বলছেন?’
‘আঃ’।
‘যে মাটিতে শুয়ে সিমপ্যাথি আদায় করে গাড়িতে উঠে বলত টাকা দিন নইলে ইজ্জত নিচ্ছেন বলে চেঁচাব? সল্ট লেকে যাকে তুলেছ সে চেঁচায়নি, কারণ তোমার চেনা মেয়েছেলে। কত দিন চেনো?’ বড়বাবু চোখ বড় করলেন।
‘বিশ্বাস করুন, ওকে আমি আগে কখনও দেখিনি।’
‘তা হলে সে চেঁচিয়ে পাবলিক ডাকল না কেন?’
‘আমি জানি না। বিদ্যাসাগর মশাই...।’ বলেই থেমে গেল অজয়।
‘কোন বিদ্যাসাগর? কোথায় থাকে? সে আসছে কেন এর মধ্যে?’
‘আজ্ঞে, যিনি বর্ণপরিচয় লিখেছিলেন। সত্যি কথা বলতে বলেছিলেন। মানুষের উপকার করতে বলেছিলেন, বিধবার বিয়ে দিয়েছিলেন।’
‘আর ইউ ম্যাড?’ চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন বড়বাবু।
‘আজ্ঞে, না স্যর।’ মাথা নাড়ল অজয়।
‘তোমার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। যদি তা করি তা হলে জেনো, শি ইজ আ কলগার্ল। ওই সল্ট লেকের মাতাল দুটো কীসের অফিস চালায় জানো?’
‘না স্যর।’
‘খবরের কাগজের সেকেন্ড পাতায় পত্র-মিতালির বিজ্ঞাপন দেখেছ? টাকা খরচ করে ঠকবেন না। মনের মতো বান্ধবী পাবেন। ফোন নম্বর দেওয়া থাকে বিজ্ঞাপনে। ওই লোক দুটো এই ব্যবসা শুরু করেছিল। কলগার্ল মেয়েটি দেখল নিজে খদ্দের খুঁজলে অনেক হ্যাপা, তাই ওদের ওখানে অ্যাপ্লাই করেছিল। কলকাতায় মালদার লোকজন গোপনে বন্ধুত্ব চাইলে ওরা একে কাজে লাগাবে। কমিশন নেবে। হুঁঃ।’ বড়বাবু মাথা নাড়লেন।
‘তা হলে সে পালাল কেন?’
‘প্রথম দিন খদ্দের হাতের কাছে না থাকায় ওরা ট্রায়াল নিতে চাইছিল। মেয়েটা বিনা পারিশ্রমিকে রাজি হয়নি। তাই পালিয়েছিল। ওর অ্যাপ্লিকেশনের ঠিকানা দেখে খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। সে বাড়ি ফিরেই যখন শুনেছে আমরা খোঁজ করছি, অমনি হাওয়া হয়ে গিয়েছে। অবশ্য ওই লোক দুটো ফেঁসে গেছে। অনেক শিক্ষিত ভদ্র মেয়ের নাম ঠিকানা ওদের অফিসে পাওয়া গিয়েছে। এ রকম উটকো মেয়েকে আর গাড়িতে তুলো না। মেয়েটাকে যদি কয়েক দিনের মধ্যে না পাওয়া যায়, তা হলে কেস ড্রপ করে দেওয়া হবে। অন্য মেয়েদের সাক্ষী করে কেস চলবে। কোথায় দেশ?’
‘আজ্ঞে মেদিনীপুরে।’ |
|
‘তাই বিদ্যাসাগরের নাম করছিলে। যাও, ফিরে এসে দেখা কোরো।’
অজয়ের মনে হল অঞ্জনা যদি চিরকালের জন্যে হারিয়ে যায়, তা হলে তাকে আর ঝামেলায় পড়তে হবে না।
|
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)
ছবি: সায়ন চক্রবর্তী |
|
|
|
|
|