পলিটেকনিক কলেজ হয়নি নাককাটিগছে |
আর্থিক বরাদ্দ মেলার প্রায় ৮ মাস পরেও তুফানগঞ্জের নাককাটিগছে পলিটেকনিক কলেজ তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। জটিলতা কাটাতে তাঁরা দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, ২০০৯ সালে তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটিগছের ব্যাপারিপাড়া এলাকার ৬ একর জমির উপর পলিটেকনিক কলেজ তৈরির শিলান্যাস হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই কলেজের ভবন, সীমানা প্রাচীর তৈরির জন্য ২ কোটি ৪৩ লক্ষ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। মাঠে জল জমে থাকার মত নানা কথা বলে কাজ শুরু হয়নি। নাটাবাড়ির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বাম জমানায় প্রশাসনিক টালবাহানায় জন্যই ভবন তৈরির কাজ পিছিয়ে যায়। মহাকরণে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত কাজ শুরু শুধু নয়, এক বছরের মধ্যে তা শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান শচীন বর্মন বলেন, “বাম জমানায় স্রেফ চমক দিতে কলেজের শিলান্যাস করা হয়। সময়মত বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এবার নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।” কোচবিহার জেলা পরিষদের সিপিএমের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস অবশ্য বলেছেন, “বাম সরকারের আমলেই ওই কলেজ তৈরির জমির ব্যবস্থা করা হয়। ভবন তৈরির বরাদ্দও দেওয়া হচ্ছে না। কারিগরি শিক্ষা দফতরও কিছু জানাচ্ছে না। নতুন সরকারের প্রতিনিধিরাই বিষয়টি বলতে পারবেন।” কলেজ তৈরির দায়িত্ব যাঁদের সেই পূর্ত দফতরের কোচবিহারের অফিসারেরা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পূর্ত দফতরের (নির্মাণ ) নর্থ সার্কেলের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ কুন্ডু বলেছেন, “ওই কলেজের কাজের ওয়ার্ক ওর্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।” ফেব্রুয়ারি মাসে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ার পর টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু বিধানসভার জন্য তা পিছিয়ে যায়। পরে বর্ষার মরশুমে জল জমে থাকায় কাজ এগোয়নি। সম্প্রতি কলেজের ভবন, সীমানা প্রাচীর তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে ওয়ার্কওর্ডার দেওয়া হয়েছে।
|
মদ খাওয়ার টাকা না-দেওয়ায় ভাইফোঁটার বাজারের ব্যাগ ও সাইকেল ছিনিয়ে দুই ছাত্রকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠল একদল যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট থানার ডাঙা অঞ্চলের নামখানা ফরেস্ট এলাকায়। জখম দুই ছাত্রকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “খবর পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, “এর আগে বালুরঘাটে দুষ্কৃতীদের হাতে ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। ফের এমন ঘটনা ঘটল। এখনও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি সেটা জানতে চাইব।” পুলিশ জানায়, জখম দুই ছাত্রের নাম রাজকুমার দুবে ও সুমন দাস। রাজকুমার একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সুমন নবম শ্রেণিতে পড়ে। ভাইফোঁটা উপলক্ষে তাঁরা রঘুনাথপুর বাজারে ২ কেজি মাংস, মিষ্টি-সহ অন্য কেনাকাটা সারে। বাড়ি ফেরার সময়ে শীতলা মন্দিরের কাছে কিছু যুবক তাদের আটকায়। মদ খাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা না- পেয়ে ওই যুবকেরা সুমনকে মারধর করে। রাজকুমার বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। লাঠি দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাজারের ব্যাগ সমেত সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তনু কোঁয়ার বলেন, “এলাকার ১০ জন যুবকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ হয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
|
পারিবারিক অশান্তির জেরে এক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফাঁসিদেওয়া থানার হাটখোলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। মৃতের নাম রাজু লেম্বু (২৬)। |