|
|
|
|
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নালিশ, যথেচ্ছ ভাড়া সিটি অটোয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
একই দূরত্ব। এনজেপি থেকে হাসমিচক বা এনজেপি থেকে জংশন। সিটি অটোর ভাড়া কখনও ১৫ টাকা, কখনও ২০ টাকা। এক-দু’দিন নয়, দীর্ঘদিন ধরে এনজেপির সিটি অটো চালকদের একটি অংশ ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, তিন গুণ হারে ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যটকদের কাছ থেকে ভাড়া আরও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে কোনও যাত্রী প্রতিবাদ করলে তাঁকে অন্য অটো ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাত্রীরা বার বার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি মহকুমার পরিবহণ আধিকারিক রাজীব সুনদাস বলেন, “বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিবহণ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব। ভাড়ার তালিকা আমার কাছে নেই।” প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে অটো চালকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রশাসনের তরফে কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। ৪ কিলোমিটার দূরত্ব ৫ টাকা এবং তার পরে প্রতি কিলোমিটার ৫০ পয়সা করে বেশি নেওয়ার কথা। কোর্ট মোড় থেকে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় যে সব সিটি অটো চলাচল করে তারা ওই হারেই ভাড়া নেয়। কিন্তু এনজেপির অটো চালকদের একটি বড় অংশ প্রশাসনের নির্দিষ্ট করা ভাড়ার থেকে বেশি হারে আদায় করছে বলে অভিযোগ। বৃহত্তর শিলিগুড়ি সিটি অটো ওনার্স ইউনিয়নের সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, “প্রশাসনের তরফে যে ভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে আমার সেটাই মেনে চলি। যদি কেউ সেটা না মেনে চলে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে সিটি অটো ভাড়া বাড়ানো দরকার। নতুন সরকারের কাছে আমরা সে আবেদন রাখব।” কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি কাজের জন্য মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করেন কল্যাণ দে। তিনি বলেন, “দু’দিন শিলিগুড়ি থেকে মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড়ে গিয়েছে। একদিন ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। একদিন ২০ টাকা নিয়েছে চালক। ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে বললে তারা গুরুত্ব দেননি।” শিলিগুড়ি থেকে মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড়ের ভাড়া ৯ টাকার বেশি নয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। কয়েকজন যাত্রী বলেন, “ভাড়া নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে চালকরা গাড়িতে নিতে রাজি হন না। অন্য গাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই তারা যে ভাড়া দাবি করেন তা দিয়েই যাতায়াত করছি।” যাত্রীদের তরফে সিটি আটোতে ভাড়ার চালিকা ঝুলিয়ে রাখার দাবি তোলা হয়েছে। নির্মলবাবু বলেন, “সিটি অটোতে ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে রাখার কথা। যদি না থাকে বিষয়টি দেখা হবে।” পরিবহণ আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|