|
|
|
|
প্রতারণায় ধৃতের পুলিশ হাজত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে শহরের তিন ‘প্রভাবশালী’ এজেন্টের ভুমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে এক জন শহরের এক কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। অন্য দু’জনের এক জন বিমা সংস্থার কর্মচারী এবং অন্য জন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মচারী। চলচ্চিত্রে টাকা বিনিয়োগের টোপ দিয়ে মুম্বই কেন্দ্রিক ওই সংস্থাটি শিলিগুড়িতে ব্যবসা শুরু করে ওই তিন জন প্রভাবশালীর হাত ধরেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তিন জন শহরে নানা মহলের লোকজনকে ১০ টাকা জমা দিয়ে ১০ মাসে ১৬০ টাকা পেতে লগ্নি করায় আগ্রহী করান। কিছু দিন আগে ৩ জন এজেন্টকে প্রচুর টাকা, গাড়ি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতারিতদের অনেকের অভিযোগ। মুম্বই থেকে পুলিশ ওই সংস্থার অন্যতম ম্যানেজিং ডিরেক্টর রামশাজীবন সাহেবরাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করার পরে প্রতারিতদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে গ্রেফতারের পরে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে ওই দিন রাত থেকেই দফায় দফায় জেরা শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তির থেকে বেশ কিছু সূত্র মিলেছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলায় জড়িত অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির ভুমিকায় খোঁজ শুরু হয়েছে। অনেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরামর্শেই তাঁরা অর্থ বিনিয়োগ করেন। সংস্থার হয়ে প্রভাবশালী নিজেই বিনিয়োগকারীদের রসিদ দিতেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, মুম্বই থেকে শিলিগুড়িতে অফিস খুলে আচমকা কোনও সংস্থার পক্ষে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করা অসম্ভব। লোকে যাতে তাঁদের কথা বিশ্বাস করে সে জন্যই তিন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল কি না তা পুলিশ দেখছে। শিলিগুড়ি আদালতের এক আইনজীবী বলেন, “স্থানীয় এজেন্ট ছাড়া এই ধরনের সংস্থা ব্যবসা শুরু করতে পারে না। কিছু লোকের ভুমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। সন্দেহভাজন এবং অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারেও আদালতে আর্জি জানানো দরকার।” প্রতারিতরা টাকা ফেরত না-পেয়ে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যাঁরা বিনিয়োগ করেন তার মধ্যে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি উদয় দুবে-সহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। কিছু অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রয়েছেন। যাঁরা অবসরের পরে পাওনা টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। রেলের এক কর্মচারী ছেলের উচ্চশিক্ষার জন্য সঞ্চয় থেকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। পুলিশের সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে। |
|
|
|
|
|