|
|
|
|
শিলিগুড়িতে ‘আধার’ তৈরিতে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
গোটা দেশ জুড়ে চালু ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ (আধার) তৈরির কাজে শিলিগুড়িতে এবার নামল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কও। শুক্রবার আশ্রমপাড়ায় ব্যাঙ্কের রিজিওনাল অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, বিধায়ক তথা এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যকে দিয়ে এই কাজ শুরু হয়। ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহের পাঁচ দিনই সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আধার নম্বরের জন্য আবেদন করা, ছবি তোলার কাজ চলবে। শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার যে কোনও নাগরিক আধারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র জমা নেওয়ার সময়ে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র ছাড়াও ছবি, হাতের ছাপ, চোখের মণির ছাপ নেওয়া হবে। ব্যাঙ্কের কলকাতা জোনের জেনারেল ম্যানেজার সন্দীপ দাশগুপ্ত জানান, সরঞ্জামের অভাব থাকায় শিলিগুড়ি রিজিওনাল অফিসে কাজ চলবে। কিছুদিনের মধ্যে সমস্ত সরঞ্জাম চলে এলে সমগ্র সিকিম, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বেসরকারি বিমা সংস্থা পিয়ারলেসের সহযোগিতায় ডাক বিভাগ আধার কার্ড তৈরির কাজে নেমেছে। শিলিগুড়ি ছাড়ও পাহাড়ের তিন মহকুমা, জলপাইগুড়ি-সহ অন্যত্র ওই কাজ চলছে। ওই বেসরকারি বিমা সংস্থা আধার কার্ড তৈরির কাজে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককেও সহযোগিতা করছে। এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি সময়োপযোগী। একসঙ্গে একাধিক পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরতে হয়। আধার প্রকল্পটি চালু হলে এই সমস্যা দূর হবে। মানুষ যাতে এই প্রকল্পে সাড়া দেয় সেই জন্য বিধায়ক হিসাবে সমস্ত সাহায্য করব।” একই নাগরিকের রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের এটিএম, পাশপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ নানা ধরনের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হয়। আধার কার্ড সঙ্গে থাকলে সে সমস্যা দূর হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০১০ সালে প্রকল্পটি চালুর পরে কলকাতা-সহ দেশের নানা প্রান্তের এ কাজ শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার কার্ড বা ওই জাতীয় সচিত্র, বাসস্থানের প্রমাণপত্র এবং বয়সের প্রমাণপত্র জমা দিলেই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদনের পরে ডাকযোগে ১২ সংখ্যা বিশিষ্ট আধার কার্ড আবেদনকারীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। পরিচয়পত্র হিসাবে পাশপোর্ট, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোনও একটি জমা দেওয়া যাবে। বাসস্থানের পরিচয়পত্রে হিসাবে ওই সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়াও, টেলিফোন জল কিংবা বিদ্যুতের তিন মাসের পুরানো নয় এমন বিল, ব্যাঙ্ক কিংবা ডাকঘরের পাশবুক, পুর করের রশিদ, জমা দেওয়া যাবে। |
|
|
|
|
|