ভাঙন রোধে ব্যবস্থার দাবি
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফাঁসিদেওয়ায় স্থানীয় মহানন্দা নদীর ভাঙন রোধের ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। সীমান্তের ওই বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ফাঁসিদেওয়া সীমান্ত ঘেঁষা মহানন্দা নদীর ক্রমাগত ভাঙনে সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন গ্রামের কৃষিজমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধের ব্যবস্থার দাবিতে সেচ দফতরে দাবি জানিয়ে আসা হলেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বাদশা ঘোষাল বলেন, “ছোট ছোট ভাঙনে আমরা একশো দিন প্রকল্পে বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে কাজ করেছি। বড় কাজ করতে হলে অনেক টাকার দরকার। আমাদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। সমস্যার কথা সেচ দফতরে জানানো হয়েছে।” ফাঁসিদেওয়ার কংগ্রেস নেতা তথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলের নেতা আইনুল হক বলেন, “মহানন্দার ভাঙন রোধের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্তরে দাবি জানানো হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া না হলে সীমান্ত ঘেঁষা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।” তিনি জানান, মহানন্দার ওপারে বাংলাদেশ। এপারে ভারত। নদীর দুই দিকে নদী ভাঙছে। বাংলাদেশের দিকে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের এপারে কেন কাজ হচ্ছে না জানি না। অথচ আমি জানি, দুই দেশের সরকারের মধ্যে নদী ভাঙন বিষয় নিয়ে একটা চুক্তি হয়েছে। এই নিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় স্তরে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দার ক্রমাগত ভাঙনের ফলে ফাঁসিদেওয়ার জালাস থেকে চটহাট পর্যন্ত প্রায় ৭০০ হেক্টর পরিমাণ কৃষিজমি বিলীন হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চটহাট এলাকা। চাটহাটের কংগ্রেস নেতা বসির মহম্মদ বলেন, “নদী ঘেঁষা বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের জমি রয়েছে। ভাঙতে ভাঙতে জমির পরিমাণ কমে গিয়েছে। বহু লোকের জমি নদীতে চলে গিয়েছে। জমি হারিয়ে আমাদের এলাকার তিনটি পরিবার দিন মজুরে পরিণত হয়েছে। সদর আলির ৪ বিঘে জমির সবটাই নদীতে চলেছে গিয়েছে। একই অবস্থা হয়েছে মজিদ আলি, গফুর আলি নামে তিন বাসিন্দারও। সহিদুল মহম্মদ, তফিজুল, মহম্মদ জামালের মতো বাসিন্দারা বলেন, “প্রতিবছর নদীর ভাঙনে দুশ্চিন্তা বেড়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.