জঙ্গলমহলে সমর্থন হারিয়ে হতাশ
মাওবাদীরা, দাবি সিআরপি কর্তার
শ্চিমবঙ্গে যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধ থাকায় মাওবাদীরা ফের সংগঠন মজবুত করতে সফল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সমর্থনে ধস নামায় চিন্তাতেও রয়েছে তারা। এমনটাই দাবি পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী দমনে মোতায়েন কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর কর্তাদের।
জনসমর্থন কমার প্রমাণ কী?
সিআরপি-কর্তারা বলছেন, সম্প্রতি জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা যে বন্ধের ডাক দিয়েছিল, তা সেই ভাবে সফল হয়নি। জঙ্গলমহল থেকে পুলিশে নিয়োগের প্রক্রিয়াও বয়কট করার ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। তা অবজ্ঞা করেই হাজার হাজার আদিবাসী যুবক পুলিশে চাকরির জন্য লাইন দিয়েছেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীদের একটা অংশ নতুন করে খুনের রাজনীতি শুরু করতে চাইলেও আর একটি অংশ জনসমর্থনের অভাব দেখে হতাশ হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে মাওবাদীদের আলোচনায় বসানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকে সমর্থনই জানিয়েছেন সিআরপি-র ডিজি কে বিজয়কুমার। তাঁর বক্তব্য, “অভিযান চালিয়ে মাওবাদীদের গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণে বাধ্য করানোর পাশাপাশি আলোচনায় বসানোর জন্য দর কষাকষিও আমাদের রণকৌশলের অঙ্গ। রাজ্য সরকারই এই রণকৌশল বা নীতি ঠিক করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় খুবই ভাল।” বস্তুত, অভিযানের সঙ্গে উন্নয়ন ও মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা যে কেন্দ্রীয় সরকারের রণনীতিরও অঙ্গ, তা আজ জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনও।
মাওবাদী দমনে জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এখন দীর্ঘ সময় মোতায়েন থাকবে ধরে নিয়ে শালবনিতে একটি নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে সিআরপি। এ জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ৪০ একর জমি চাওয়া হয়েছে। ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মাওবাদী দমনে মোতায়েন সিআরপি-জওয়ানদের ছয় সপ্তাহের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জঙ্গলমহল থেকে আপাতত কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীও সরানো হচ্ছে না বলেও আজ সিআরপি-র ডিজি জানিয়ে দিয়েছেন। জঙ্গলমহলে এখন সাত ব্যাটালিয়ন সিআরপি ও এক ব্যাটালিয়ন বিশেষ প্রশিক্ষিত কোবরা বাহিনী রয়েছে। বিজয়কুমার বলেন, “জঙ্গলমহলে যে বাহিনী ছিল, তা-ই থাকছে।” জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য সুসংহত ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় যাতে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াকেও আনা হয়, তার জন্যেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছেন সিআরপি-র ডিজি। এই প্রকল্পে এখন একমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরই আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। রাজ্য সরকারও ইতিমধ্যে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য দাবি জানিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.