পদোন্নতিতে বাম জমানার ‘অনিয়ম’ ফাঁস তথ্য-আইনে
রকারি কর্মচারীদের একাংশের পদোন্নতি নিয়ে বাম জমানার ‘অনিয়ম’ ফের প্রকাশ্যে এসে পড়ল তথ্যের অধিকার আইনের সুবাদে! ওই আইনে শ্রম দফতরের কর্মীদের একাংশের দায়ের করা জিজ্ঞাসার জবাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে যেমন দফতরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার জন্য বাম আমলের দিকে আঙুল উঠছে, তেমনই এক শ্রেণির কর্মীর পেনশন আটকে গিয়েও সঙ্কট তৈরি হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান আর্থিক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের একাংশের পেনশন বন্ধ। কিন্তু ওই আইনে পাওয়া তথ্যে ইঙ্গিত মিলছে, বাম আমলে তৈরি হওয়া প্রশাসনিক জটিলতাও কিছু ক্ষেত্রে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে শ্রম দফতরের এক শ্রেণির আধিকারিকের বহু দিনের অভিযোগ মেটাতে গিয়ে তাদের আচমকা পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এগ্রিকালচারাল মিনিমাম ওয়েজেস ইনস্পেক্টর (এমডব্লিউআই)-দের জন্য ‘সুপার নিউমেরারি’ পদ তৈরি করে ১৬০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয় গত বছর (নির্দেশিকা ২০২৭ জিই, তাং: ৯/৬/২০১০)। এর ফলে ওয়েস্ট বেঙ্গল লেবার সার্ভিসের সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসাররা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (স্যাট) দ্বারস্থ হন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘গ্রেডেশন তালিকা’ ছাড়াই এই পদোন্নতি হয়েছিল। তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইনে তাঁরা ‘গ্রেডেশন তালিকা’ জানতে চান। রাজ্য তথ্য কমিশনারের কাছে শুনানির পরে অবশেষে শ্রম দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গ্রেডেশন তালিকা’র বিষয়টি আগে থেকেই আদালতে বিচারাধীন থাকায় এমডব্লিউআই-দের পদোন্নতির সময় তা তৈরি ছিল না (২৯৩৬/১(১)জিই, তাং: ১৩/০৯/২০১১)।
এ ছাড়াও, ১৯৭৬ এবং ১৯৮২ ব্যাচের ইনস্পেক্টরদের পদোন্নতি হওয়ার আগে ১৯৯৯ এবং ২০০৬-এ দু’দফায় এমন অফিসারদের উঁচু পদে নিয়ে আসা হয়েছিল, যাঁরা চাকরিতে এসেছেন পরে। এ ক্ষেত্রেও তথ্যের অধিকার আইনে পাবলিক সার্ভিস কমিশন দু’দফায় শ্রম দফতরকে জানিয়ে দিয়েছে, ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনে হয়নি। উভয় ক্ষেত্রেই বিগত সরকারের ‘ভুলে’র জন্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অফিসারদের পেনশন-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, “বর্তমান সরকারের তরফেও সমস্যা মেটাতে কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। বিগত সরকার অ্যাড হক পদোন্নতি দেওয়ায় সরাসরি ও ফিডার পোস্টের ৫০-৫০ ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলার দরুন ডেপুটি লেবার কমিশনার, জয়েন্ট লেবার কমিশনারের মতো পদে পদোন্নতিও ঘটাতে পারছে না রাজ্য সরকার।” উচ্চ পদে আধিকারিকেরা অবসর নিলে এবং এই অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষেরও সমস্যা হবে। বিশেষত, অসংগঠিত ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পের রূপায়ণের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার হিসাবে অবসর নিয়েছেন, এমন কিছু আধিকারিকের পেনশন আটকে গিয়েও এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.