|
|
|
|
অন্য কঙ্কাল-কাণ্ডে ফের হাজতে কালিদাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘শারীরিক অসুস্থতা’র যুক্তিতে দাসেরবাঁধের কঙ্কাল-কাণ্ডে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য আর এক কঙ্কাল-কাণ্ডে জড়িয়ে থাকায় কারামুক্তি হল না সিপিএম কর্মী কালিদাস চৌধুরীর।
দাসেরবাঁধের কঙ্কাল-কাণ্ডে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। ওই ৫৮ জনের মধ্যে গড়বেতার বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ ১৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন। কালিদাস অন্যতম। ‘ফেরার’ বাকি ৪০ জনের নামে বৃহস্পতিবারই ‘হুলিয়া’ জারি করেছে মেদিনীপুরের সিজেএম আদালত। ওই হুলিয়া জারি সংক্রান্ত শুনানির সময়েই ধরা পড়ে গত মঙ্গলবার মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে জামিন মঞ্জুর হয়েছে কালিদাসের। অথচ এই মামলায় চার্জশিট হয়ে যাওয়ার পরে এমনকী হাইকোর্টও একাধিক বন্দির জামিনের আবেদন নাকচ করেছে। তা হলে কালিদাসের জামিন কী ভাবে হল, সে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সিআইডির অফিসার ও সরকারি আইনজীবীদের মধ্যে। সিজেএমের এজলাসে ওই জামিন বাতিলের জন্য বৃহস্পতিবার আবেদনও করেন সরকারি আইনজীবী। যদিও অতিরিক্ত জেলা বিচারকের মঙ্গলবারের নির্দেশই বহাল রাখেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
কালিদাসবাবু ছাড়া পাবেন ধরে নিয়ে তাঁকে আনতে শুক্রবার সকালেই তাঁর পরিজনেরা কেশপুরের আনন্দপুর থেকে পৌঁছে যান মেদিনীপুর সংশোধনাগারে। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। ইতিমধ্যেই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছয় আদালতের একটি ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ বা হাজিরার পরোয়ানা। বস্তুত এ দিন সকালেই আদালতে সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কালিদাসবাবু শালবনির একটি কঙ্কাল-কাণ্ডেও জড়িত। তদন্তে তেমনই তথ্য মিলেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় অপহৃত হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী যজ্ঞেশ্বর মাহাতো। অভিযোগ, সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীই তাঁকে অপহরণ করে খুনে করে। এ বছর জুনের শেষ দিকে শালবনির মোহনপুর এলাকায় খালপাড়ে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। সেই দেহাবশেষ যজ্ঞেশ্বরবাবুর বলে দাবি করেন তাঁর পরিজনেরা। সিআইডি-ই এ ঘটনার তদন্ত করছে। কালিদাসবাবুর ‘যোগসাজশে’র বিষয়টির পক্ষে শুক্রবার আদালতে তদন্তের কিছু নথিও পেশ করা হয়। তার পরেই ভারপ্রাপ্ত সিজেএম গ্ল্যাডি বোমজান আগামী ১ নভেম্বর কালিদাসবাবুকে আদালতে হাজির করার পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা সংশোধনাগারে পৌঁছনোর পর কালিদাসের মুক্তিও আর সম্ভব হয়নি। হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাঁর পরিজনেদের। |
|
|
|
|
|