|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা |
পুর-উদ্যোগ |
নতুন খেলাঘর |
চন্দন রুদ্র |
খুদেরা সাঁতার শিখতে আসছে। কিছু দিনের মধ্যেই টেবল টেনিস শেখানো শুরু হবে। রয়েছে মাল্টিজিম, শিশু উদ্যানও। সব মিলিয়ে সেজে উঠেছে কাঁকুড়গাছির আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র পার্ক। পার্কের একাংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে এই মিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সম্প্রতি এই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন মেয়র
শোভন চট্টোপাধ্যায়।
২০০৫-এ সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র থাকাকালীন এই পার্কে সুইমিং পুল তৈরির কাজ শুরু হয়। স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, “এই এলাকায় পুকুর নেই। তাই এই পার্কে সুইমিং পুল তৈরির কথা ভাবা হয়। তৎকালীন সাংসদ জয়ন্ত ভট্টাচার্য, কুলদীপ নায়ার, প্রণব মুখোপাধ্যায়, অজিত পাঁজাদের আর্থিক সাহায্যে কাজ শুরু হয়। |
|
১০ বছরের লিজে পূর্ব কলকাতা সুভাষমেলা কমিটি পুল চালানোর অনুমতি পেয়েছিল।” কিন্তু বাম পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে কাজ থমকে গিয়েছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে আবার জোরকদমে কাজ শুরু হয়। পরেশবাবু বলেন, “মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় অবশেষে কাজ সম্পূর্ণ হল।”
এর মধ্যেই সাঁতার শিখতে ছোটরা ভিড় করতে শুরু করেছে। শুধু স্থানীয়রাই নয়, বেলেঘাটা, কাদাপাড়া, বিধাননগর থেকেও বাবা-মারা ছোটদের এখানে সাঁতার শেখাতে নিয়ে আসছেন। স্পোর্টস কমপ্লেক্সটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা অভিজিৎ সরকার বলেন, “১০-১৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে ভর্তি হতে আসছে। পাঁচ দিন অনুশীলন চলে। প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী অনুশীলন করে। প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন শক্তিপদ রজক। ঠান্ডা পড়ায় এখন অনুশীলন বন্ধ রয়েছে।” |
|
শুধু সুইমিং পুলই নয়, তৈরি হয়েছে ৬৫০ বর্গফুটের টেবল টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। চারপাশ কাঁচে ঘেরা। তবে এখনও প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। এর পাশেই রয়েছে মান্টিজিম। আছে ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থাও। কমপ্লেক্সটির প্রশংসা করে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “রাজ্যে জুড়ে এমন স্পোর্টস কমপ্লেক্স আরও গড়ে তুলতে হবে।”
পাশের শিশু উদ্যানটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে রয়েছে দোলনা, স্লিপ-সহ ছোটদের খেলার নানা উপকরণ। রয়েছে প্রবীণদের বসার জায়গা। আগামী ২০ বছর স্পোর্টস কমপ্লেক্সটি দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছে পূর্ব কলকাতা সুভাষমেলা কমিটি। মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “বামবোর্ডের আমলে উদ্যোগটি থমকে গিয়েছিল। দায়িত্বে এসে আমরা প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাঁতার এবং টেবল টেনিসের একটা আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পেরেছি। তবে পুরসভার পক্ষে প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালানো সম্ভব নয়। তাই রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় ওই সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
|
ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ |
|
|
|
|
|