ফর্মূলা ওয়ান ট্র্যাকে নামার আগেই হার মানলেন বিশ্বের তাবড় দুই এফ-ওয়ান ড্রাইভার।
দিল্লির রাস্তায় পা রেখে চক্ষু চড়কগাছ ম্যাকলারেনের লুই হ্যামিলটন ও জেনসন বাটনের। দিল্লির উপকন্ঠে গ্রেটার নয়ডায় এফ-ওয়ান দৌড়ে শেষমেষ কপালের লিখন যাই লেখা থাক হ্যামিলটন ও বাটন একটা ব্যাপারে নিশ্চিত দিল্লির রাস্তায় বাস,অটো ও ট্যাক্সিকে হারানর হিম্মত নেই তাদের।
হাসতে হাসতে গতকাল রাতে এক অনুষ্ঠানে হ্যামিলটন বললেন “আপনাদের এখানকার মোটর ড্রাইভার, অটো ড্রাইভার ও টু-হুইলার ড্রাইভাররা রাস্তায় যেভাবে গাড়ি চালায় তা দেখে আমার ও বাটনের পিলে চমকে গেছে। ওবেরয় হোটেল থেকে বুদ্ধ সাকির্ট যাওয়ার পথে আমাদের দিল্লির ট্র্যাফিক দেখে অবাক হয়ে গেছি। প্রথমত এখানে কেউ ট্র্যাফিক মানে না। ট্র্যাফিক লাইট দেদার ভঙ্গ করে।তার উপর জ্যামে পড়ে টু-হুইলার আর অটোর কেরামতি দেখার মত। কি সহজে ওরা ফুটপাতের উপর উঠে সবাইকে টপকে হাসতে হাসতে জ্যাম কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। আর ট্র্যাফিক পুলিস দেখেও না দেখার ভান করে দাঁড়িয়ে তামাসা দেখছে। তাই মনে হচ্ছে। দিল্লির এই ড্রাইভারেরা আমাদের হাসতে হাসতে হারিয়ে দিয়ে ট্রফি নিয়ে বেরিয়ে যাবে।”
হ্যামিলটনের এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে হাসিতে ও হাততালিতে ভেঙ্গে পড়ে পুরো হলের দর্শকরা। তাদের আর বাটনের উপলব্ধি “রাস্তায় ট্র্যাফিক লাইটে সবুজের থেকে হলুদ এবং হলুদ থেকে লাল বাতি হওয়ার আগেই ড্রাইভারদের মধ্যে কেমন একটা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। কে আগে লাল বাতি হওয়ার ঠিক আগের মুহুর্তে তার গাড়ি বার করে নিতে পারবে লাইটকে উপেক্ষা করে। হলুদ বাতি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই জ্রাইভাররা কোনও চালান না দিয়ে স্বগর্বে বার বার বেরিয়ে যাচ্ছে তা দেখে তাজ্জব বেনে গেছি।”
হ্যামিলটন ও বাটনের এই অভিযোগ নিয়ে দিল্লির অটো ড্রাইভার নির্মল সিংহকে বলতেই হাসতে হাসতে বললেন “ আরে ভাই আপকো উনকো বোলনা চাইহে থা কি আরে বচ্চু হম ওর ভি বহুত কুছ কর সকতে হ্যায়।” আর টু-হুইলার ড্রাইভার বিনোদ শর্মার উত্তর “উনকো বোলো উনহোনে দিল্লিকা বহুত কুছ অভি নহি দেখা। আজায়ে হমারে সাথ রেস লাগানে। হম উনহে আরামসে হারা দেঙ্গে।” |