|
|
|
|
তৃণমূল নেতার ‘হুমকি’ দলীয় নেতাকেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাকে সপরিবার খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের অন্য এক নেতার বিরুদ্ধে।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাওড়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা, তৃণমূল কাউন্সিলর অরুণ রায়চৌধুরী। আর অভিযোগকারী হলেন, হাওড়া পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে যুব তৃণমূলের সভাপতি জামিল আখতার। বৃহস্পতিবার রাতে জামিল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানিয়েছেন, অরুণবাবু এবং তাঁর দলবল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে শাসিয়েছেন।
কিন্তু কেন? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবপুর এলাকার কাউস ঘাট রোডের বাসিন্দা জামিল আখতার যুব তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি হলেও তিনি পেশায় প্রোমোটার। সম্প্রতি তিনি পুরসভার বিরোধী দলনেতার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি তিনতলা আবাসনের প্রোমোটিং করছিলেন। জামিলের অভিযোগ, দলের লোক হওয়ায় তিনি অরুণবাবুর কাছে গিয়েছিলেন পুরসভার অনুমোদিত ওই তিনতলা বাড়িকে চারতলা পর্যন্ত তৈরি করার অনুমতি নিতে। জামিলের অভিযোগ, ওই সময়ে অরুণবাবু তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকা দাবি করেন। কয়েক দিন আগে সেই টাকার একাংশ তিনি অরুণবাবুর হাতে গিয়ে দিয়ে আসেন এবং সেই ছবিই একটি চ্যানেলে বৃহস্পতিবার দেখানো হয় বলে জামিলের দাবি। তাঁর অভিযোগ, এর পরে রাতেই তাঁকে অরুণবাবু ডেকে পাঠান এবং প্রাণে মারার হুমকি দেন।
জামিল বলেন, “টাকা দেওয়ার বিষয়ে যে সব কথা আমি টিভিতে বলেছি, তা পাল্টে ফেলতে বলছেন অরুণদা এবং তাঁর লোকজন। তা না-করলে আমাকে ও আমার বাড়ির লোকজনকে মেরে ফেলা হবে বলে শাসানো হয়েছে। এই হুমকি শোনার পরে আমরা রাতে বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছি।”
মাস তিনেক আগে হাওড়া পুর-এলাকায় একটি শপিং মলের বিতর্কিত নির্মাণে মেয়রকে বৈধতার ছাড়পত্র দিতে লিখিত সুপারিশ করার ঘটনায় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পুরসভায় পোস্টারও পড়েছিল। ফের ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) সুকেশকুমার জৈন বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জামিল জানান, গোটা ঘটনাটি তিনি তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ সমস্ত নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।
অরূপবাবু বলেন, “অরুণবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। আমরা জামিলকে ডেকে তাঁর বক্তব্য শুনব এবং তার পরে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|