টুকরো খবর
সম্প্রীতি রক্ষায় গণ-ভাইফোঁটা
শুক্রবার সকালে হুগলি জেলার খানাকুলের তাঁতিশাল গ্রামের বেণীকুসুম প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ‘গণ-ভাইফোঁটা’ হয়ে গেল। আয়োজন করেন খানাকুল-১ ব্লকের বিডিও সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতি অটুট রাখতে এই উদ্যোগ। প্রায় দেড়শো জনকে ফোঁটা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও অনেকে ছিলেন। এর পরে ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ। অন্য দিকে, এ দিনই হাওড়ার পাঁচলা বকুলতলায় ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন মেতে ওঠেন এই উৎসবে। বকুলতলা যুবকবৃন্দ আয়োজিত কালীপুজোর মণ্ডপেই বসেছিল ভাইফোঁটার আসর। দীপ দলুই, প্রীতম দাস, শেখ ইকবালেরা এসেছিল বাবা-মায়ের হাত ধরে। তাদের কপালে ফোঁটা দিতে হাজির হয়েছিলেন জহুরা খাতুন, মঞ্জুরা বেগম, মৌ সরকার, পৃথী দাস, অর্পিতা সরকারেরা। গত বছরও পাঁচলা বকুলতলা আয়োজন করেছিল সম্প্রতির এই ভাইফোঁটা। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রায় আড়াইশো জন এই অনুষ্ঠানে ফোঁটা নেয়। উদ্যোক্তাদের অন্যতম সঞ্জীব সরকার এবং শেখ সমিরুদ্দিন বলেন, “ছোট থেকেই যাতে ভ্রাতৃত্ব বোধ জাগ্রত হয় সেই জন্য আমরা এই ভাই ফোঁটার আয়োজন করেছি।” ভাই ফোঁটার শেষে ছিল মিষ্টিমুখের আয়োজন। সেই সঙ্গে যে সব দিদিরা ফোঁটা দিয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হয় উপহার।

দীপাবলিতে বিশেষ সম্মান
৯০ বছরে পড়ল খানাকুলের খামারগোড়ি গ্রামের কালীপুজো। পুজো উপলক্ষে গত বছর থেকে পুরস্কার প্রদানের রেওয়াজ শুরু হয়েছে। গ্রামের যে সব মানুষ দৃষ্টান্তমূলক কোনও কাজ করেন, তাঁদের থেকে এক জনকে বেছে নিয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সেই পুরস্কার পেলেন অশোক বক্সি। দিনমজুর অশোকবাবু পারিবারিক দুর্দশার মধ্যেও ছেলে তন্ময়কে পড়াশোনা শিখিয়েছেন। তন্ময় এখন স্থানীয় ছত্রশাল হাইস্কুলের শিক্ষক। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর এই পুরস্কার পান লাল্টু ধঁক। তিনি স্থানীয় রামমোহন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। যিনি নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই জোগাড় করেন এবং বাবাকে সংসার চালাতেও সাহায্য করেন। পুজো কমিটির সম্পাদক শ্রীকান্ত ধঁক জানান, গ্রামের এই সব মানুষকে মানপত্র এবং সামান্য টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্য, আরও অনেক গ্রামবাসীকে ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করা।

ছুরির ঘায়ে জখম গোঘাটে
এক সিপিএম সমর্থককে ছুরি মেরে জখম করার অভিযোগ উঠল কয়েক জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের দক্ষিণপাড়ায়। তাপস মুদি নামে জখম ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সঞ্জয় রায়, অমিত রায় এবং গন্ধরাজ রায় নামে তিন তৃণমূল কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে গ্রামে রাস্তার ধারে মাচায় বসেছিলেন তাপসবাবু। কালীপুজো উপলক্ষে অনেক লোক যাতায়াত করছিল। তাপসবাবুর বক্তব্য, “প্রথমে ওরা (অভিযুক্তেরা) আমাকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করে। রাস্তায় প্রস্রাব করছিল। প্রতিবাদ করায় আমার গায়ে প্রস্রাব করতে উদ্যত হয়। বাধা দিলে ছুরি চালায়।” তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “ব্যক্তিগত ঝগড়া থেকে কোনও ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ নিয়ে মিথ্যা রাজনীতি করা হচ্ছে।”

আমবাগানে মৃতদেহ
বারাসত থানা এলাকার জগন্নাথপুরে একটি আমবাগানের ভিতরে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরীর দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার সকালে দেহ উদ্ধারের পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানায়, কিশোরীর বয়স ১৬-১৭। তার গলায় একটি দাগ আছে। সকালে দেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশের অনুমান, গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে কিশোরীর দেহ আমবাগানে ফেলা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.