|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন ২... |
|
খোকাবাবুর প্রেম |
প্যারিসে। কাজ আর রোমান্স মাখামাখি যেখানে। সেখানে দেব।
এই প্রথম বার। পাশে সঙ্গিনী। খোঁজ দিলেন শতরূপা বসু |
সারা দুনিয়া-ঘোরা। পাসপোটের্র পাতা প্রায় ভর্তি। বাকি ছিল এই জায়গার স্ট্যাম্পটা পড়া। সেটাও পড়ে গেল। দেব এবার যাচ্ছেন প্যারিস। এই প্রথম বার। আগামী ছবি ‘খোকাবাবু’র গানের শু্যটিংয়ের জন্য। আপাতত জুরিখ-এ। প্যারিস পৌঁছবেন সামনের বৃহস্পতিবার।
এ আবার এমন কী বড় কথা? বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারের রুটিন তো এমনই হওয়ার কথা। কলকাতায় প্রাতরাশ। সুইৎজারল্যান্ডে লাঞ্চ। প্যারিসে ডিনার। উত্তেজনায় নিশ্চয়ই থরথর?
মুন্ডু! ভয়ে নাকি কাঁপছেন তিনি।
‘‘আর বলবেন না। খরচের দিক থেকে এটা আমার জীবনের অন্যতম দামি শু্যট। এত বড় বাজেটের ছবি যে খরচ উশুল করার দায়িত্ব অনেকটাই আমার ওপর। তার ওপর শুভশ্রীও ফিরল বছর দু’য়েক পর। নিজের অভিনয়, নাচ তো আছেই। অন্যদের নাচটাও ঠিকঠাক হচ্ছে কি না সেটাও তদারকি করতে হবে। চাপ আছে প্রচুর।”
কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রোম্যান্টিক জায়গা বলে কথা। তার ওপর আইফেল টাওয়ারের সামনে শু্যট। সঙ্গে রোম্যান্টিক সঙ্গি(নী)। প্রেম করেই তো দিব্যি কেটে যাবে দিনগুলো?
|
|
হো হো হাসি। “কী যে বলেন! কাজে যাচ্ছি তো!’’ গলায় আদর, আবদার আর খুনসুটি মাখামাখি।
প্যারিস যখন, কেনাকাটার লিস্ট কত বার পাল্টাচ্ছে?
‘‘কত যে প্ল্যান করেছি। কবে থেকে একটা ট্যাগ হয়ার ঘড়ি কিনব ভাবছি! প্রত্যেক বার বিদেশে যাই, নানা দোকানে ঢুঁ মারি,আর দাম জিজ্ঞেস করেই পালিয়ে আসি।’’ সে কী? কত আর দাম? দেড়-দু’লাখ! তাঁর মতো সুপারস্টারের এতেই এত দোনামোনা? ‘‘আরে সেটাই তো ঝামেলা। কিনব-কিনব করে লাফাই, আর পরক্ষণেই ভাবি, নিজের জন্যে এত টাকা খরচ করব? আগের বার বিদেশ থেকে বাবার জন্যে একটা র্যাডো ঘড়ি এনেছিলাম। র্যাডোর খুব শখ ছিল বাবার। এ বার তো মা বলেই দিয়েছেন, যদি প্যারিস থেকে ট্যাগ হয়ারটা না কিনি তা হলে সেটার টাকা হাতে গুঁজে দেবেন। কী মুশকিল!’’
তা, গানের শু্যটে নিশ্চয়ই দারুণ দারুণ সব পোশাকে দেখা যাবে? প্যারিস তো পৃথিবীর ফ্যাশন রাজধানী! ‘‘আমার ডিজাইনার যে কী সব খোলামেলা পোশাক দিচ্ছে! ‘পাগলু’র সময় তো ফ্যাশন করতে গিয়ে ঠান্ডায় মরতে মরতে বেঁচে গেছি! এ বারও প্যারিসের ঠান্ডায় কপালে যে কী আছে!’’ বলতে বলতেই কাঁপছেন তিনি!
প্যারিসের অন্যতম সিগনেচার তো পারফিউম? কিনবেন নিশ্চয়ই?
এক সেকেন্ডও অপেক্ষা না করে দেবের সটান উত্তর, “ওটার জন্য ‘দুবাই-বাবা কি জয়’। প্যারিসে শুঁকব অনেক। কিন্তু কেনার জন্য দুবাই!’’ তা বলে বান্ধবীর জন্য কিচ্ছুটি কিনবেন না? সে কী! “সে তো নিজে গিয়েও কিনে নিতে পারে...”! এই আপাত নিরাসক্তি প্রেমের কোন স্তর? উত্তরে মিটিমিটি হাসি।
আর প্যারিসের মেয়েরা? চোখ ট্যারা করে তাঁদের দেখবেন তো? রোমিও বলে কথা! “সে তো বলাই বাহুল্য! ঈশ্বরের এমন সৃষ্টি... এ সুযোগ কেউ হেলায় হারায়!” |
|
|
|
|
|