হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালালেও তাদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিল আমেরিকা। মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর সঙ্গেও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন আলোচনা করতে চায় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীই এখন আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর কাছে সব চেয়ে বড় বিপদ। ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ নিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল পাক সরকারকে। কিন্তু সেই আইএসআইয়ের অনুরোধেই হক্কানি গোষ্ঠীর এক প্রতিনিধির সঙ্গে মার্কিন কর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন বলে জানিয়েছেন হিলারি।
হিলারির দাবি, হক্কানিদের শান্তি আলোচনার জন্য রাজি করাতে পারবে বলে আশা করেছিল আইএসআই। তাই মার্কিন কর্তারা ওই বৈঠকে রাজি হয়েছিলেন। বৈঠকে অবশ্য হক্কানিদের সঙ্গে কোনও দর কষাকষি হয়নি। হক্কানি গোষ্ঠী আমেরিকার এই পদক্ষেপের জবাব দেয় কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে। হিলারি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালিবান নেতৃত্ব, বিশেষত কোয়েটা শহরের জঙ্গি নেতাদের সম্মতি প্রয়োজন। গোয়েন্দাদের ধারণা, কোয়েটার
ওই জঙ্গি নেতাদের প্রধান তালিবান নেতা মোল্লা ওমর। তবে আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমেরিকা বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে বলে জানিয়েছেন হিলারি। কিন্তু, একই সঙ্গে অভিযান ও আলোচনার এই দ্বিমুখী পদ্ধতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন হিলারি। |