|
|
|
|
ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার আসানসোলের মহীশিলা কলোনির বাসিন্দা, পেশায় ক্যাটারিং ব্যবসায়ী রমেশ গণের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায় বাঁকুড়ার মেজিয়ায় একটি ধানখেত থেকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তাঁর প্রতিবেশী, বিজেপি-র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিশীলা কলোনিতে তিনি নিজের দিদি-জামাইবাবুর কাছে থাকতেন রমেশবাবু। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ নিজের মোটরবাইক নিয়ে মহীশিলা কলোনির বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিন্তু তার পরে আর ফিরে আসেননি।
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাঁর খোঁজ না মেলায় শনিবার আসানসোল দক্ষিণ থানায় তাঁর পরিবারের তরফে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। রবিবার আসানসোল স্টেশনে তাঁর মোটরবাইকটির হদিস পায় পুলিশ। সোমবার সকালে মেজিয়ায় বড়দিঘির কাছে একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর পরেই আসানসোল পুলিশ তদন্তে নামে। আসানসোল-দুর্গাপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) শীসরাম ঝাঝরিয়া শুক্রবার জানান, ধৃত তাপস দাসের সঙ্গে রমেশবাবুর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন, “প্রাথমিক কিছু তথ্যের ভিত্তিতে এই ঘটনায় তাপস দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানান, তদন্ত চলছে।
এ দিকে, রমেশবাবু বাড়ি থেকে বেরোনোর পরের দিন তাঁর মোটরবাইকটি মেলে আসানসোল স্টেশনের কাছে। পরের দিন তাঁর দেহ পাওয়া যায় প্রায় ১৭ কিমি দূরে মেজিয়ায়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গাড়িটির খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে, এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুরেন্দ্রনাথ লাম্বার দাবি, “তাপসবাবু আমাদের দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আমরা মনে করি এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করার বিষয়টি পুলিশের চক্রান্ত।” ধৃতের পরিবারের লোকজন অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
|
|
|
|
|