চার বছর পরেও চালু হয়নি পুরসভার গড়া শৌচালয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
চার বছর আগে আসানসোল স্টেডিয়াম সংলগ্ন অঞ্চলে সুলভ শৌচালয় গড়েছিল আসানসোল পুরসভা। কিন্তু আজ পর্যন্ত চালু হয়নি সেই শৌচালয়। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণ হয়নি। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষজন। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। কিন্তু কী কারণে সেটি চালু করা গেল না তা পরিষ্কার করে জানাতে পারেননি পুর কর্তৃপক্ষ।
আসানসোল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল। শহরের তিন দিকে যাওয়ার জন্য একটি বাস স্ট্যান্ড রয়েছে এখানে। প্রতি দিন কয়েকশো যাত্রীবাহী বাস এখান দিয়ে যাতায়াত করে। ওঠানামা করেন কয়েক হাজার যাত্রী। আশপাশে শতাধিক দোকান আছে। সম্প্রতি এখানেই গড়ে উঠেছে আসানসোলের সব থেকে বড় শপিং মল। স্বাভাবিক ভাবেই বহু মানুষের যাতায়াত হয় এই এলাকায়। এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকদের চাহিদা ছিল, এখানে একটি সুলভ শৌচালয় বানিয়ে দিক পুরসভা। |
|
আসানসোল স্টেডিয়াম চত্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বাসিন্দাদের চাহিদা মতো স্টেডিয়ামের গা ঘেঁষেই শৌচালয়টি বানিয়ে দেয় আসানসোল পুরসভা। চার বছর আগে সেটি তৈরি হয়ে যায়। তার পরেও ক্ষমতায় ছিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তাপস রায় জানিয়েছেন, তাঁদের আমলেই পুরসভা এই শৌচাগারটি বানিয়েছে। কিন্তু সরকারি টাকায় তৈরি শৌচালয়টি তাঁরা চালু করতে পারেননি। কেন? তাপসবাবু বলেন, “অনেক দিন আগের ব্যাপার। এখনই মনে করে বলতে পারব না।”
পরিবর্তনের হাওয়ায় পাল তুলে আসানসোল পুরসভায় ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট। তাও প্রায় আড়াই বছর আগে। তারাও কিন্তু শৌচালয়টি চালু করতে উদ্যোগী হয়নি। কেন? সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি বর্তমান মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়-ও। তিনি দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন পুরনো বোর্ডের ঘাড়েই। তাঁর জবাব, “শুধু এটা কেন? শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় এ রকম সুলভ শৌচাগার বানানো হয়েছিল। কিন্তু ওরা চালু করেনি। আমরা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব অল্প দিনের মধ্যে এটিও চালু করে দেব।”
আসল কারণ অবশ্য জানিয়েছেন, পুরসভার বাস্তুকারেরা। শৌচাগারটি আসলে চালু করা যাচ্ছে না জলের অভাবে। এবং জলের একটি পৃথক পাইপলাইন বসানো না গেলে এখানে শৌচাগারটি চালু করা যাবেও না।
দীর্ঘ দিন ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে শৌচাগারটি এখন নষ্ট হওয়ার পথে। ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যেও। এলাকার এক ব্যবসায়ী সমীর দাসের কথায়, “এই শৌচাগার চালু হলে সাধারণ পথচারীরা এটি ব্যবহার করতে পারতেন। সুবিধা পেতেন এলাকার ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু তৈরি জিনিস পড়ে আছে। আর আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।” |
|