|
|
|
|
টুকরো খবর |
জঙ্গলে ঘেরা নাজিরপাড়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
চারপাশে বাঁশঝাড়। মাঝে মধ্যে বড় গাছ,ঝোপ জঙ্গল। দিনেই মাঠটি ছায়াছন্ন। বিকেল হতেই অন্ধকার ঝুপ করে নেমে আসে মাঠে। গাছের গায়ে গায়ে লাগানো কয়েকটি টুনির মালার আলোয় মোটামুটি ভাবে চলার পথ দেখা যাবে। এগোলেই ২০ ফুট লম্বা অতিকায় কালী মূর্তি। আলোর প্রয়োগে গোটা এলাকায় গা ছমছমে ভাব। তবে ভয়ের কিছু নেই। এটাই পুজোর থিম জলপাইগুড়ির নাজিরপাড়া চৌরঙ্গি মোড় কালী পুজো কমিটির। এবার গুহার ভেতরে পুজো, রাক্ষসের মুখের ভেতর দিয়ে ঢুকে দেবী দর্শনের মতো আয়োজন হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে ট্রেনের ধাক্কায় ক্রমাগত হাতি মৃত্যু ঘটনা উঠে এসেছে পান্ডাপাড়া ইয়ুথ কয়ারের পুজো আয়োজনে। মণ্ডপে বিভিন্ন মডেলের সাহায্যে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বন্য প্রাণিদের নিজেদের মতো থাকতে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। পান্ডাপাড়ার তরুণ সঙ্ঘের পুজোর আয়োজন গুহার ভিতরে। চটের বস্তা দিয়ে তৈরি হয়েছে গুহা। আলো আধারি গুহার ভিতরে রয়েছে নানান ধরনের কালী প্রতিমা। দেশবন্ধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় লাগোয়া দেশবন্ধুনগরের পুজোর মণ্ডপের তোরণটিই এক অতিকায় রাক্ষসের মুখ। সিড়ি দিয়ে উঠে রাক্ষসের হাঁ করা মুখের ভেতর দিয়ে মন্ডপে প্রবেশ করতে হবে। মন্ডপে নানা দৃশ্যাবলীর পটে রয়েছে দেবী প্রতিমা। ভূমিকম্পের থিমে পুজোর আয়োজন হয়েছে পান্ডাপাড়ার অমর সঙ্ঘে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির নানা ছবি-সহ কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে পুজো মণ্ডপে। পরিবেশের ক্ষতি না করার বার্তা রয়েছে এই পুজো মণ্ডপে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ৭৩ মোড়ের পুজো কমিটির পুকুরের ওপর বেতের মণ্ডপ দর্শনার্থীদের ভিড় টেনেছে। মণ্ডপের ভেতরে নানা সুক্ষ হাতের কারুকার্য রয়েছে।
|
রাস্তা বেহাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
লিউসিপাখুরি থেকে সাহানন্দজোত রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। অভিযোগ, রাস্তাটি বহুদিন সংস্কার হয়নি। বর্তমানে পাকা রাস্তার অস্তিত্ব নেই। মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আইনুল হক বলেন, “চরম দুর্ভোগের মধ্যে মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য মহকুমা পরিষদে পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়েছে।” শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সভাধিপতি পাসকেল মিনজ বলেন, “রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।” ২০০১ সালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ লিউসিপাখুরি হাট থেকে ফাঁসিদেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহানন্দজোত পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি হয়। পাঁচ বছরের মধ্যে রাস্তাটি ভাঙতে শুরু করে। কী সিপিএম, কী কংগ্রেস কোনও দলের নেতারাই রাস্তার সংস্কারে উচ্চবাচ্চ্য করেননি। ছিল না কোনও আন্দোলনও। |
|
|
|
|
|