বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া দিয়ে ফের জেলা সফরে মমতা |
উৎসবের মরসুম শেষ হতেই তাঁর বকেয়া জেলা-সফর ফের শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর পরেই পাহাড় এবং জঙ্গলমহল থেকে যে জেলা সফর তাঁর শুরু হয়েছিল, তা ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে চান তিনি। পাহাড় ও ডুয়ার্স এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। সেই রকম প্রশাসনিক বৈঠকই এর পরের জেলা-সফরে করার কথা। ঝাড়গ্রামে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর তিনি রাজ্যের সমস্ত বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সেই বৈঠকের কর্মসূচি বহাল রয়েছে। মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী যেমন প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন, এ বারও তাঁর জেলা-সফরের গোড়াতেই রয়েছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। এই দুই জেলারও বিস্তীর্ণ অঞ্চল মাওবাদী-অধ্যুষিত। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মাওবাদীদের হিংসা বন্ধ করে আলোচনায় বসার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনে তারা সাড়া দেয়নি। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সফরের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ‘গুরুত্ব’ রয়েছে। মহাকরণ সূত্রের খবর, আগামী ১১ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। পরের দিন তাঁর বীরভূম ও বর্ধমানে বৈঠক করার কথা। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, এখনই তিনি বর্ধমানে যাবেন না। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলা-সফর করেই মমতা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও প্রশাসনিক বৈঠকে যাবেন। মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। দার্জিলিং পাহাড় বা সমতল শিলিগুড়ি তাঁর এই সফরের তালিকা না-থাকারই সম্ভাবনা। কারণ, সম্প্রতিই তিনি পাহাড় ও সমতল সফর সেরে এসেছেন।
|
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির পরীক্ষা নয় |
আপাতত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন স্কুলগুলিতে ভর্তির সময় কোনও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা না নিয়ে স্কুল-ভিত্তিক লটারির মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভর্তি করা হবে। এখন কেবলমাত্র সরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। অন্য সব স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্যও পরীক্ষা দিতে হয়। সরকারি স্কুলেও এখন পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি থেকে পর্যন্ত কোনও ক্ষেত্রেই ভর্তির পরীক্ষা নিতে পারবে না কোনও স্কুল। রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্র ২০০৯-এ সবার জন্য শিক্ষার অধিকার আইন বলবৎ করে। সেখানে বৈষম্য এড়াতে ভর্তির পরীক্ষা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই আইন রাজ্য সরকার কার্যকর করতে চলেছে। |