বিবাদী বাগ লাগোয়া গার্স্টিন প্লেসের যে বাড়িটিতে বুধবার রাতে আগুন লাগে, সেটি ভেঙে দেবে পুরসভা। অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাচীন ওই চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলটি ভেঙে তৃতীয় ও দ্বিতীয় তলের উপরে এসে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে সিঁড়ির বেশ কিছু অংশও। বহু দিন আগেই কলকাতা পুরসভা ওই বাড়িটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে ঘোষণা করেছিল। বৃহস্পতিবার এ কথা জানান পুরসভার ডিজি (বিল্ডিং) দেবাশিস কর।
দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান জানান, ইতিমধ্যেই ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে তাঁর দফতর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। জাভেদ বলেন, “বাড়িটিতে কেন আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিকের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।” |
বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ চার নম্বর গার্স্টিন প্লেসের ওই বাড়িটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। ওই বাড়িতে বেশ কয়েকটি অফিস রয়েছে। আগুনের তাপে বাড়ির চতুর্থ তল এবং সিঁড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় দমকলকে হাইড্রলিক ল্যাডারের সাহায্যে আগুন নেভাতে হয়। ১০টি ইঞ্জিন প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ভস্মীভূত বাড়িটির ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। দমকলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, আগুন নিভে গেলেও পোড়া ইমারতের তাপ থেকেই এখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তবে এ দিন বিকেল পর্যন্ত দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ও জল আনার গাড়ি সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
ডিজি (বিল্ডিং) জানিয়েছেন, তপ্ত হয়ে থাকা বাড়িটির ভিতরের অংশে জল দেওয়ার জন্য এ দিন দমকল কর্তৃপক্ষ বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু অবস্থানগত কারণে যন্ত্রের সাহায্যে বাড়িটি ভাঙা সম্ভব নয়। শ্রমিকদেরই কাজে নেমে বাড়িটি ভাঙতে হবে। কিন্তু দেওয়াল ও পোড়া জিনিসপত্র গরম থাকায় সেই কাজ এখনই করা সম্ভব নয়। তবে, দমকলের সুবিধার্থে বাড়িটির কয়েকটি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দমকলকর্মীরা ভিতরে জল দিয়েছেন। দেবাশিসবাবু জানান, বাড়িটির অবস্থা এমন যে সেটি না ভাঙলেই নয়। তাই কয়েক দিনের মধ্যেই ভাঙার কাজ হবে। |