বুধবার ছিল কালীপুজো, বৃহস্পতিবার অন্নকূট আর শুক্রবার ভাইফোঁটা। পরপর তিন দিনের এই তিনটি উৎসবের আঁচ গিয়ে পড়েছে বাজারে। বাজারে তাই আগুন লাগাই স্বাভাবিক।
তিন দিন ধরেই বাজার অগ্নিমূল্য। শাক সব্জি থেকে মাছ, মুদিখানা সবই ছুঁতে গেলে ফোস্কা পড়ছে আঙুলে। এমনকি, দুধ-মিষ্টিরও দাম বেড়ে গিয়েছে। এমনকী জ্বালানির দামও হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। যে কোনও বড় অনুষ্ঠানে কয়লার উপরে ভরসা করারও দিন শেষ। এখন কয়লার মন ৪৮০ টাকা। কাঠ ২০০ টাকা প্রতি মন। খোলা বাজারে কেরোসিনের দাম টিার প্রতি ৩০ টাকা। সব মিলিয়ে রান্নাঘরে ঢুকতে গিয়েই হোঁচট খেতে হচ্ছে।
এর পরে মুদিখানা দ্রব্যের দাম। চিনি ২৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩ টাকা। ভাল মুগ ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। সরষের তেল ৭৬-৭৮ টাকা কেজি। দাম বেড়েছে মসলারও। নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা বলেন, “যে ভাবে নিয়ম করে ব্যাঙ্কের ‘রেপো রেট’ বাড়ছে, তাতে মূল্যবৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক। এই ভাবে সুদের হার বাড়তে থাকলে মূল্যবৃদ্ধির হার কমার সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা ছোট বড় প্রায় সব ব্যবসায়ীই ব্যাঙ্কের সাহায্য নিয়েই ব্যবসা করেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের যদি ব্যাঙ্ককে সুদ বেশি দিতে হয়, তা হলে তাঁরা জিনিসপত্রের দামও বাড়াবেন। তাই কোনও বিশেষ উৎসব উপলক্ষে নয়, সারা বছরই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।”
বাজারে ভাইফোঁটার আগের দিন আলু ১০ টাকা, বেগুন ২৫-৩০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি মাপ অনুযায়ী ১২ থেকে ২৫ টাকা। পটোল ৪০ টাকা কেজি। লাউ কুমড়ো ঝিঙে ঢেঁড়শ ২০ থেকে ২৫ টাকা। ওল ২৫ টাকা। টম্যাটো ক্যাপসিকাম বিনস ৬০ টাকা কেজি। যে কোনও ডাঁটা ২৫ টাকা। পালংশাক ৩০ টাকা, অন্য শাক ২০ টাকা।
বড় আকারের দেশি রুই মাছ ২০০ টাকার নীচে নেই। বড় কাৎলা, রুই ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা। তবে ভাইকে ইলিশ দিয়ে আপ্যায়ন করা যেতে পারে। প্রমাণ মাপের ইলিশের দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু। কিন্তু তার চেয়ে উপরে উৎতে গেলেই চিতল, চিংড়ি ৬০০ টাকা। তবে ভেটকি-পাবদা-কই ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মিঠে জলের মৌরলা, পুঁটি, খয়রা, ট্যাংরা ৩০০ টাকা থেকে শুরু। খাসির মাংস ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। মুরগি ১১০ থেকে ১২০।
দুধের সের ৩০ টাকা। অতএব বেড়েছে মিষ্টির দামও। তুলনায় ছোট হয়েছে সাইজ।
|
সোনি-এরিকসন
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
সোনি-এরিকসনে ইউরোপীয় সংস্থা এরিকসনের ৫০% শেয়ারই ১৪৭ কোটি ডলারে কিনছে বলে জানিয়েছে সোনি। মোবাইল ফোন তৈরি করতে ২০০১-এ জোট বাঁধে সংস্থা দু’টি। কিন্তু পরে প্রতিযোগিতায় অ্যাপল, স্যামসাং-এর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, ফের বাজার বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। সোনি জানিয়েছে, তার শাখা সংস্থা হিসেবেই কাজ করবে সোনি-এরিকসন। |