নিজের জেঠতুতো দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের নাম সঞ্জয় ডোম (২৬)। বাড়ি পাড়ুই থানার গড়গড়িয়া গ্রামে। সঞ্জয়ের বাবা মানিক ডোম বৃহস্পতিবার পাড়ুই থানায় তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাতে সঞ্জয়কে গ্রামের কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গভীর রাতে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিন পুলিশের কাছে মানিকবাবু তাঁর ভাইপো রঞ্জিত ডোমের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ করেন। বীরভূমের পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “মৃত যুবকের মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ধারালো কোনও কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তাকে পুলিশ খুঁজছে।” লিখিত অভিযোগে মানিকবাবু দাবি করেছেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই সঞ্জয়ের সঙ্গে রঞ্জিতের মধ্যে পারিবারিক কারণে বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার ওই বিষয় নিয়ে দু’টি পরিবার বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। পরে অশান্তি মিটমাট হয়ে যায়। বুধবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে সঞ্জয় বাড়ির বাইরে বেরোলে রঞ্জিত তাঁর উপরে হামলা চালান। বস্তুত, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক কারণে সঞ্জয় ও রঞ্জিতের পরিবারের বিবাদ অনেকদিন ধরেই চলছে। মাস খানেক আগে গ্রামে সালিশি সভা করে বিষয়টি মেটানো হয়। সঞ্জিতকে সঞ্জয়ের বাড়িতে যেতে নিষেধও করা হয়।
|
কালীপুজো দেখতে যাওয়ার পথে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। গুরুতর আহত হলেন তাঁর সঙ্গী। বুধবার রাত ১০টায় দুর্ঘটনাটি ঘটে সিউড়ি-আমোদপুর রাস্তায় সিউড়ি থানার সাংড়া মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবাশিস মণ্ডল (২৫)। তাঁর বাড়ি সিউড়ি শহরের রবীন্দ্র পল্লিতে। তাঁর সঙ্গী ছোটন শর্মাকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাশিস ও ছোটন দুই বন্ধুতে মোটরবাইকে চড়ে আমোদপুরের কাছে নিরিশায় কালীপুজো দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে সাংড়ার কাছে রাস্তার পাশে গাছে বাইকটি ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই দেবাশিসের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ছোটনকে উদ্ধার করে।
|
সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবি জানাল সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন। পাশাপাশি কৃষকেরা যাতে ন্যায্য মূল্যে সার কিনতে পারেন, তার দাবিও তোলা হয়েছে। সার বিক্রির ক্ষেত্রে কালোবাজারি, ফাটকা কারবার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন সংগঠনের সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার নলহাটি ১-এর বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি আকারে দাবিগুলি পেশ করেন তাঁরা। বিডিও অচিন্ত্য সিংহ বলেন, “সহায়ক মূল্যে ধান কেনার দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে। সারের কালোবাজারি ও ফাটকা কারবার রোধে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|