ভিড় বাড়তে চলেছে পৃথিবীতে। এতটাই যে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জও। সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে হবে অন্তত এক হাজার কোটি। তবে জন্মের হার যদি আর সামান্য বাড়ে, তা হলেই তা পৌঁছে যাবে দেড় হাজার কোটিতে। ২০৫০ সালেই জনসংখ্যা বেড়ে হবে প্রায় ৯০০ কোটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড) হুঁশিয়ারি, এই জনসংখ্যার চাপে ব্যাহত হতে পারে দারিদ্র দূরীকরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ কর্মসূচি। ‘দ্য স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ২০১১’ নামে ১২৬ পাতার রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে হঠাৎই বেড়ে গিয়েছিল পৃথিবীর জনসংখ্যা। কিন্তু গত ষাট বছরে অনেকটাই কমেছে প্রজননের হার। ষাট বছর আগে পৃথিবীর প্রত্যেক মহিলা গড়ে ৬টি সন্তানের জন্ম দিতেন। সেই গড় কমে হয়েছে ২.৫। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর পৃথিবীর জনসংখ্যায় যুক্ত হয় প্রায় আট কোটি মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর বলেন, “প্রজনন হার কম হওয়ার পরেও জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি প্রমাণ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষাদীক্ষায় উন্নতি হয়েছে মানবজাতির। এটা অবশ্যই একটা সাফল্য। কিন্তু এই মুহূর্তে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, এর ফলে মানুষের জীবনের মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। আর তার উত্তরটা খুব একটা আশাপ্রদ নয়।” যে সমস্যা মোকাবিলায় নজর দিতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে আছে বেকারত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন।
|
ভূকম্পনের পর কয়েক হাজার গৃহহীনকে আশ্রয় দেওয়ার একটা চিন্তা তো ছিলই। সেই সঙ্গে বৃষ্টি আর তুষারপাত তুরস্ক সরকারের কপালে আরও চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। এর মধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২৩। সে দেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী তিন দিনের মধ্যেই তুরস্কে পুরোপুরি তুষারপাত শুরু হয়ে যাবে। উদ্বিগ্ন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা ঠান্ডা রোধ করতে আরও অনেক কম্বল ও তাঁবুর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন সরকারকে। তবে জার্মানি, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে অনেক রসদ পাঠানো হয়েছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রচণ্ড ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেক পরিবার এক সঙ্গে ছোট তাঁবুতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। ভুকম্পে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক্রিসে এরকমই এক তাঁবুতে স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সর্মিন ইলডিজ। তাঁর কথায়, “ঠান্ডা ক্রমেই বাড়ছে। আমার দুই সন্তানই খুব কাশছে। কিন্তু আমি জানি না আর কতদিন আমাদের এ রকম অবস্থায় থাকতে হবে।” এ দিকে যত সময় যাচ্ছে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে জীবিতদের উদ্ধারের আশাও তত কমে যাচ্ছে। |