স্থানীয় একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ে জুলুমবাজির অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠচার্জ করে অবরোধ তোলে বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে ইঁদপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। এসডিপিও (খাতড়া) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “চাঁদা নিয়ে ওই এলাকায় গণ্ডগোলের জেরেই কিছু মানুষ এ দিন রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজির নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
ইঁদপুর থানার বাংলা মোড়ে, বাঁকুড়া-খাতড়া রাস্তায় এই অবরোধ হয়। দোকান বন্ধ রেখে এই অবরোধে সামিল হয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আশপাশের ৬-৭টি গ্রামের বাসিন্দারা। সকাল ৬টা থেকে টানা চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। খবর পেয়ে ইঁদপুর থানার ওসি কৌশিক মিশ্র বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তাঁদের বুঝিয়েও অবরোধ তোলা যায়নি। পরে এসডিপিও (খাতড়া) পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে গিয়ে লাঠিচার্জ করে অবরোধ তোলেন বলে অভিযোগ। যদিও এসডিপিও, লাঠিচার্জের অভিযোগ মানতে চাননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইঁদপুরের একটি ক্লাব জোর করে কালীপুজোর চাঁদা আদায় করছিল। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তো বটেই, এমনকি পথচারীদের রাস্তায় আটকে জোর করে চাঁদা তোলা হয়। এই অভিযোগে এ দিন জিড়রা, শালুকা, দামোদরপুর, ধরমপুর-সহ ৬-৭টি গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা বাংলা মোড়ে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। কালীপুজোর সকালে এই অবরোধের জেরে দীর্ঘ ক্ষণ ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। চরম ভোগান্তির শিকার হন ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী বাস-সহ বহু গাড়ির যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। গ্রামবাসী মিহির পাত্র, সুনীল পাত্র, চুনিবালা সর্দারদের অভিযোগ, “ইঁদপুরের ওই ক্লাবের কয়েক জন সদস্য জোর করে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাংলা মোড়ের ব্যবসায়ীদের ওরা হুমকি পর্যন্ত দেয়। পুলিশকে জানানো সত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এ দিন চেষ্টা করেও ইঁদপুরের ওই ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, ইঁদপুরের বাসিন্দাদের একাংশ ক্লাবটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, অন্য ক্লাবের প্ররোচনায় ওই এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা এ দিন পথ অবরোধ করেন। ইঁদপুরের ক্লাবটি কোনও জুলুমবাজি করেনি। |